বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম, বেকায়দায় নিম্ন আয়ের মানুষ


অনলাইন ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 10-02-2023

বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম, বেকায়দায় নিম্ন আয়ের মানুষ

ক্রমশ বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা। এ নিয়ে জনমানসে বাড়ছে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে বেশকিছু পণ্যের দাম। বিশেষত, ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের পর এবার আগুন লেগেছে মাছের বাজারে। বেড়েছে সবজির দামও।

প্রকারভেদে চাষের মাছ কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে প্রায় ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে ইলিশ-চিংড়ির পাশাপাশি দেশি পদের (উন্মুক্ত জলাশয়ের) মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

দেখা গেছে, চাষের পাঙ্গাস-তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আগে বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হতো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা এখন ১৭০-২০০ টাকায় ঠেকেছে। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। যা আগে ১৮০-২০০ টাকায় কেনা যেতো।

আমিষের চাহিদা পূরণে গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষে ব্রয়লার মুরগি ও পাঙ্গাস-তেলাপিয়া মাছের ওপর বেশি নির্ভরশীল। মাছ-মাংসসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে সীমিত আয়ের মানুষ বাজারে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

এ বিক্রেতা জানান, তার দোকানে প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকায়। যা আগে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতো। এছাড়া প্রতি কেজি ৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ১০০ টাকা বেশি। এক কেজির বেশি ওজনের কয়েকটি তাজা ইলিশ, যা দেড় হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। ওই ধরনের মাছ সপ্তাহখানেক আগেও এক হাজার ২০০ টাকার কাছাকাছি ছিলো।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি এখন ২০০-২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, এ দাম গত সপ্তাহ থেকেই চড়া। দেশি মুরগির কেজি চাওয়া হচ্ছে ৪৫০-৫২০ টাকা। গরুর মাংসও কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা বেড়ে এখন ৭২০-৭৫০ টাকায় উঠেছে।

অন্যদিকে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৩৫-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে আরও ৫-১০ টাকা বেশি দামে। প্রতি হালি ডিম কোথাও কোথাও ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতেও দেখা গেছে। তবে ফার্মের সাদা ডিমের দাম কিছুটা কম। অন্যদিকে হাঁসের ডিমের ডজন এখনো ২১০-২২০ টাকা।

এদিকে শীত শেষ হতেই বেড়েছে শীতের সবজির দাম। কয়েকদিন আগেও ৩০ টাকা পিস দরে বিক্রি হওয়া ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা পিস হিসেবে।

কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। অপ্রত্যাশিত হারে বেড়েছে লাউয়ের দাম। মাঝারি আকারের একেকটি লাউ কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। লাউ শাকের আটিও ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা। একই দাম টমেটোর। শালগমের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ পাতা, পেঁপে।

বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাল কুমড়ার পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, আকারভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া চিচিঙ্গা, পটল ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। কচুর লতি কিনতে কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। একই দর বরবটি আর দুন্দলের। আলুর কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]