বায়ু ও শব্দদূষণের দায়ে ১৬ যানবাহন ও ১২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 08-02-2023

বায়ু ও শব্দদূষণের দায়ে ১৬ যানবাহন ও ১২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ঢাকায় ছয় এলাকায় বায়ু এবং শব্দদূষণের দায়ে ১৬টি যানবাহন ও ১২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তর ও ঢাকা জেলা প্রশাসন এ অভিযান চালায়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার সাভার, সবুজবাগ, মিরপুর, ভাটারা, লালবাগ ও শনির আখড়া এলাকায় এ অভিযান চলে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় নির্মাণসামগ্রী খোলা অবস্থায় রেখে বায়ুদূষণের দায়ে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিসমিল্লাহ স্টোন ইঞ্জিনিয়ারিং নামক দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ভাটারা ও বেরাইদ এলাকায় নির্মাণসামগ্রী খোলা অবস্থায় রেখে বায়ুদূষণের দায়ে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আর সবুজবাগ এলাকায় একই অভিযোগে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়।

মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় যানবাহনের কালো ধোঁয়া দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে ১৪টি যানবাহনের মালিককে জরিমানা করে মোট ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। শনির আখড়া এলাকায় শব্দদূষণের দায়ে দুটি যানবাহন থেকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। লালবাগ এলাকায় নির্মাণসামগ্রী খোলা অবস্থায় রেখে বায়ুদূষণের দায়ে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার টাকা এবং জেনারেটরের মাত্রাতিরিক্ত শব্দের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিশ্বের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালসহ বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর হিসাবে, গত দুই বছর ঢাকা সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর হয়ে উঠেছে। গত জানুয়ারি মাসের বেশির ভাগ সময়জুড়ে ঢাকার বাতাস বিপজ্জনক ও দুর্যোগপূর্ণ ছিল।

ঢাকার বাতাসে এত দিন দূষিত বস্তুকণা নিয়ে উদ্বেগ ছিল। শঙ্কা বাড়িয়েছিল অতিভারী ধাতুর উপস্থিতি। মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ওই বস্তুকণা পরিমাপ করে গবেষকেরা ঢাকার বাতাসকে বিপজ্জনক বলছিলেন। এবার গবেষকেরা ঢাকার বাতাসে বিষাক্ত অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রো প্লাস্টিকের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন।

ঢাকাবাসীর নিশ্বাসের সঙ্গে ওই কণা শরীরে প্রবেশ করছে। এতে ক্যানসার, শ্বাসপ্রশ্বাসের রোগ তৈরি হচ্ছে, যা ওষুধেও দূর হবে না বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। ফলে এর উৎস নিয়ন্ত্রণে জোর দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]