আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত সোমবার (৩০ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড বাংলাদেশের ঋণ আবেদন অনুমোদন করেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার দেয়া হবে। এর মধ্যে এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) বা বর্ধিত ঋণসুবিধা ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএএফএফ) বা বর্ধিত তহবিল সুবিধার আওতায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলার এবং নতুন গঠিত তহবিল রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় আরও ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১৪০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে।
আইএমএফ বলেছে, এই ঋণ দেশটির সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা অক্ষুণ্ন রাখা, দুর্বলকে সুরক্ষিত করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ প্রথম দেশ হিসেবে আরএসএফ তহবিল থেকে ঋণ পাচ্ছে বলে উল্লেখ করে সংস্থাটি বলেছে, এই অনুমোদনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এখনই ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার (৪৭৬ মিলিয়ন) ঋণ দেয়া হবে। আর বাকি ঋণ ৪২ মাসের মধ্যে পাবে বাংলাদেশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ বলেছে, করোনা মহামারি মোকাবিলা করে বাংলাদেশে দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হয়েছিল। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে এ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ফলে বাংলাদেশে চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যায়, টাকার অবমূল্যায়ন হয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যায়। বাংলাদেশ সরকার সামগ্রিকভাবে এই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়। এসব তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ানো, বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সমস্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে নজর দেয়ার বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা দেশটির সরকার বুঝতে পারে।
গত বছরের ২৪ জুলাই ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার। প্রথমে পরিমাণের কথা উল্লেখ না থাকলেও, ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে ৪৫০ কোটি ডলার চাওয়া হয়।