আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা দিবসের প্রধান উপহার ফুল। আর সে ফুলের মধ্যে সবার পছন্দ লাল গোলাপ। চাহিদা থাকায় দাম বেড়েছে গোলাপসহ সকল ধরনের ফুলেই। চাহিদা মেটাতে বাঘা উপজেলার পৌর মোড় ও থানা মোড়ে ফুলের দোকানগুলিতে ভালোবাসা দিবসের জন্য মজুত প্রায় ১২ হাজার পিস লাল গোলাপ। প্রতিটি গোলাপ ফুলের দাম সুন্দর্য্য বিবেচনায় ৩০ থেকে ৫০ টাকা।
গ্লাডিয়াস প্রতি পিস ২০টাকা, মাথার ক্রাউন প্রতি পিস ১৫০ থেকে ৩শ টাকা। ফুলের পাইকারী বাজারে দাম বেড়েছে তিন-চার গুন। এর প্রভাবেই সাধারণের উচ্চ মূল্যে ফুল কিনতে হচ্ছে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ীরা।ফুল বিক্রেতা রনি আহম্মেদ, শাকিল, তছিকুল ইসলাম,রায়হান সাংবাদিকদের জানান ,ফুলের বাগানে ভাইরাস আক্রান্তের কারনে চাষীদের ফুলের ফলন ভালো হয়নি। পোকা কাটা ফুল ও ফলন কম হওয়ায় ফুলচাষীরা আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েছেন। চাহিদা এবং ফুল চাষীদের লোকসান বিবেচনায় পাইকারী বাজারে ফুলের দাম বেড়েছে।
মাথায় পরিহিত ক্রাউনে ৫ থেকে ৬টি ফুল। এ ফুলের মধ্যে গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, কালার ও জিপসি উল্লেখযোগ্য। রজনীগন্ধা পুষ্পালয়, মধুবন পুষ্পালয়, মালঞ্চ পুষ্পালয়, গন্ধরাজ পুষ্পালয়, জান্নাত পুষ্পালয়, ফ্লাওয়ার হাউস, নিউ রাজকণ্যা পুষ্পালয়, নিউ মাধবী পুষ্পালয়সহ সব কটি দোকানেই চকচকে ফুলের সমারোহ সুবাস ছড়িয়েছে সড়ক জুরে। তবে এতো আয়োজনেও যেন বেঁচাকেনায় ভাটা।
ব্যবাসায়ীদের পাইকারি বাজার থেকেই ২৫-৩০ টাকা প্রতি পিস গোলাপ কিনতে হচ্ছে যা পরিবহন ও নস্ট ফুলসহ খরচ দিয়ে ৩০-৩৫ টাকা পরে যাচ্ছে। ব্যবাসায়ীরা আশঙ্কা করছেন উর্ধ্বমূখী এই বাজার ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় আঘাত হয়ে দাড়াবে। মানুষ অতি প্রয়োজন ও দিবস ব্যতীত সাধারণ সময়ে ফুল কিনতে মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ব্যবসায়ীরা ফুল ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে চাষীদের প্রণোদনা এবং ফুলের রোগ নির্ণয় করে ফলন নিশ্চিত করার দাবী জানান।
এর সাথে পরিবহন ও ওয়েস্ট। আমরা কিনে পর্তা করতে পারছি না বেঁচে কিভাবে লাভ করব। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমরা যতটা বিক্রি করি এবার তার অর্ধেকও্ করা সম্ভব হবে না।
আসছে একুশে ফেব্রুয়ারি, ১ ফাল্গুন, বাংলা নববর্ষ, বিশ্ব ভালবাসা দিবস, ঈদ-পূজায় কাঙ্ক্ষিত বেচা-কেনা হয় এইসব ফুলের দোকান গুলিতে।
রাজশাহীর সময় / এফ কে