যুবতী সুবর্ণা (২২)। প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন যুবক সজল দাসকে। তাঁকেই জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। নতুন করে জীবন শুরু করার স্বপ্ন ছিল দুচোখে। কিন্তু বিয়ের মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যু সুবর্ণা রায়ের। তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মালদার গাজোলের ময়না নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সূত্রের খবর, দাসপাড়ার সজলের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন সুবর্ণা। প্রথমদিকে ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই সংসারে তীব্র অশান্তি শুরু হয়। সুবর্ণাকে নানাভাবে অত্যাচার করা হত। ক্রমেই হতাশা গ্রাস করছিলো সুবর্ণাকে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই তিনি বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিলেন তিনি। সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। কীভাবে আগামী দিনগুলো কাটাবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না।
সজল ভিনরাজ্যে গাড়ি চালানোর কাজ করেন। মাঝেমধ্যে বাড়ি ফিরতো। কিন্তু শ্বশুর বাড়িতে সুবর্ণাকে নানাভাবে অত্যাচার করা হত। এনিয়ে তিনি প্রথমদিকে মুখ বুজে সব সহ্য করে নিতেন। পরে অত্যাচারের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে। তার জেরে তিনি একসময় বাবার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় দেন। ভালোবেসে যাকে বিয়ে করেছিলেন তিনিও একটা সময় পাশে থাকতেন না। এরপর শোয়ার ঘরে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই যুবতী বধূর।
অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য ময়না মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
যুবতীর পরিবারের দাবি, পাশের পাড়ার যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এরপর তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুসারে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তার উপর অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ। বার বার বলেও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। শেষ পর্যন্ত সুবর্ণা বাবার বাড়িতে ফিরে এসেছিল। কিন্তু চরম পরিণতি হল তাঁর।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। অনেকেই এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না।