পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি মসজিদের ভিতরে প্রার্থনার সময় ‘আত্মঘাতী’ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩ জন, আহত ১৫০ জন।
গতকাল সোমবার মৃতের সংখ্যা ছিলো ৪৬ জনে। একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় বহু মানুষকে উদ্ধার করতে দেখা যাচ্ছে। পেশাওয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হতাহতদের। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা না নেওয়ার দায়ে দীর্ঘদিন পাকিস্তানকে ধুসর তালিকাভুক্ত করে রেখেছিল এফএটিএফ। যার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি থেকে আর্থিক সহায়তা পায়নি পাকিস্তান। এখন চরম আর্থিক সংকটের মধ্যেও সেই সন্ত্রাসবাদই তাড়া করে বেড়াচ্ছে দেশকে।
সোমবার দুপুরে পেশোয়ারের পুলিশ লাইন এলাকায় একটি মসজিদে প্রার্থনার সময় ওই বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় মসজিদে দুশোর বেশি মানুষ ভিড় করেছিলেন। আচমকাই মসজিদ চত্বরে বিকট বিস্ফোরণ হয়। ভেঙে পড়ে মসজিদের একাংশ। পাক প্রশাসন জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলা হয়েছে মসজিদে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও একে ‘জঙ্গিহানা’ তকমা দিয়েছেন। জানা গেছে, এই বিস্ফোরণে মদত রয়েছে পাক তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠীর কম্যান্ডার সরবকফ মহমের।
সূত্রের খবর, নামাজের আগে উপাসকদের মধ্যেই মিশে ছিল হামলাকারী। নামাজপাঠ শুরু হওয়ার পরই, সে তার গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক ভরা জ্যাকেটে বিস্ফোরণ ঘটায়। সরকারিভাবে হতাহতের কোনও সংখ্যা প্রকাশ না করা হলেও, ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, আরও বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। মৃতদের মধ্যে ২ জন পুলিশ কর্মী এবং মসজিদের ইমামও আছেন বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বিস্ফোরণে জড়িত অপরাধীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন শরিফ।