রাজশাহীর বাঘায় পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে সড়কের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাজেদুল ইসলাম (৩৮) নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সাইফুল ইসলাম।
অভিযোগ ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের থানা মোড় থেকে বাঘা মাজারে যাতায়াতের সড়কপথ দখল করে আধাপাকা টিনশেড দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন বাঘা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের গাওপাড়া গ্রামের সোলেমান ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলামসহ স্থানীয় আরও অনেকে। তাদের এই অবৈধ দখল রুখতে পৌর মেয়র ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর গত ৭ (ফেব্রুয়ারি )তারিখে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল আমিন।
তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টুর তত্ত্বাবধানে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সার্ভেয়ার দিয়ে রাস্তার সিমানা নির্ধারণ করা হয়। সেই সাথে রাস্তার সিমানার ভেতর সকল প্রকার অবকাঠামো নির্মান বন্ধ রাখার নির্দেশ সহ আগামী জুন মাসের মধ্যে নিজ নিজ স্থাপনা ভেঙ্গে নেয়ার ঘোষনা দেয়া হয়। কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে সাজদুল ইসলাম ইমারত নির্মানের কাজ করছেন।
এ প্রসঙ্গে অভিযোগকারী সহ স্থানীয়রা বলেন, পৌর সদরের অত্যন্ত ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজের শিক্ষক শীক্ষার্থী, বাঘা মসজিদ মাজার ও হাট বাজারে আগত অসংখ্য পথচারী ও যানবাহনের চলাচল। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি কতিপয় ব্যাক্তি দখল করে স্থাপনা নির্মান করছেন। যার ফলে এই সড়কে চরম জানজটের সৃস্টি হচ্ছে।
সম্প্রতি সাজেদুল ইসলাম একটি দোকানঘর নির্মান করছেন। আমরা নিষেধ করার পরেও তিনি তা কর্নপাত করছেননা। ফলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। পরে পৌরসভার প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের সহায়তায় সড়কের সিমানা নির্ধারন করে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু তার পরেও সাজেদুল নিজের ক্ষমতা জাহির করতে নির্মানকাজ করছেন। তারসাথে জাব্বার,হযরত আলিসহ আরও কতিপয় ব্যক্তি বাজারের অতিগুরুত্বপূর্ন সড়কটি জবরদখল করে সড়কে চলাচলকারী পথচারী ও পরিবহন এর সমস্যা সৃষ্টি করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যার কারনে সড়কে প্রতি মুহুর্তেই সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ জানযাটের। এছাড়াও মাঝে মধ্যে ঘটছে সড়ক দুঘটনা।
এ প্রসঙ্গে দোকানঘর নির্মানকারি সাজেদুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের জমির সিমানা বরাবর অবকাঠামো নির্মান করেছি। দির্ঘদিন থেকে মাপযোগ না থাকায় সিমানার পরিবর্তন হতে পারে। তবে সরকারি যায়গায় যদি স্থাপনা হয়ে থাকে, তাহলে শুধু আমার না, ১০/১২ জনের কিছু অংশ পড়তে পারে। পৌরকর্তৃপক্ষ যখন নির্দেশ দিবে তখনই তা ভেঙ্গে ফেলব।
এ বিষয়ে বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে পাকা, আধাপাকা ও টিনশেড দোকানঘর। বর্তমানে পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় খুব শিঘ্রই উক্ত সড়কের পাশ দিয়ে পানি নিস্কাসনের ড্রেন নির্মাণ সহ সড়ক উন্নয়নের কাজ করা হবে। আমরা সড়কটির সঠিক সিমারেখা নির্নয় করে দিয়েছি এবং সড়কের সিমানায় যাদের স্থাপনা রয়েছে , আগামী জুন মাসের মধ্যে তা ভেঙ্গে ফেলার জন্য সবাইকে মৌখিক ভাবে নির্দেশ দিয়েছি। আমরা অতি শিঘ্রই চুড়ান্ত নোটিশ প্রেরন করব।
রাজশাহীর সময় / এফ কে