গলাকাটা অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর নারীর মৃত্যু, স্বামী পলাতক


অনলাইন ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 29-01-2023

গলাকাটা অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর নারীর মৃত্যু, স্বামী পলাতক

গাজীপুরের কোনাবাড়িতে ভাড়া বাড়ি থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

রোববার ভোর চারটায় সিটি করপোরেশনের বাইমাইল এলাকায় আলাউদ্দিন মিয়ার ভাড়া বাড়ি থেকে ওই নারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত ইমতিয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত নারী টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার আলমনগর এলাকার মো. মাসুদ রানার স্ত্রী আরজিনা এলাইচ লিজা (৩০)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার আলমনগর এলাকার শুপু মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ রানার সঙ্গে একই থানা এলাকার আনছার আলীর মেয়ে লিজার বিয়ে হয়। কোনাবাড়ি থানার বাইমাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে মাসুদ রানা রং মিস্ত্রী ও লিজা স্থানীয় তুষুকা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। স্বামী রংমিস্ত্রী হলেও অনেক সময় বেকার থাকতেন। এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ঝগড়া হতো। রোববার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। রাতের তারা বসতঘরে শুয়েছিলেন। রোববার ভোর ৪ টার দিকে চিৎকার ও গোঙানির শব্দে বাড়িওয়ালা ও আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে লিজাকে ছটফট ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে কোনাবাড়ির স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লিজাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামীকে আর পাওয়া যায়নি।

গাজীপুর মেট্টোপলিটনের কোনাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত ইমতিয়াজ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী মাসুদ রানা পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোন কারণে স্বামী মাসুদ রানা তার স্ত্রী লিজাকে গলাকেটে হত্যার পর পালিয়ে গেছে। নিহতের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]