বন্ধ হয়ে গেল রাশিয়ার বৃহত্তম বেসরকারি নিউজ ওয়েবসাইট এটি। রুশ সরকার একে 'অবাঞ্ছিত সংস্থা' হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। এই বিষয়ে ২৬ জানুয়ারি রুশ সরকার জানায়, মেডুজা সেদেশের সংবিধান এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তার বিরোধী। সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত।
তবে সমালোচকরা ভিন্ন কথা বলছেন। তাঁদের দাবি, রাশিয়ার বাস্তব ছবিটা সমগ্র বিশ্বের কাছে তুলে ধরছিল মেডুজা। আর সেই কারণেই পুতিন সরকারের রোষের মুখে পড়েছে তারা। ঠিক কী কারণে ওয়েবসাইটটির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ, তা স্পষ্ট করেনি রুশ সরকার। লাটভিয়ায় রেজিস্টার্ড ছিল এই সংবাদসংস্থা।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাশিয়ায় কাজ করতে পারবে না মেডুজা। কেউ যদি সেই সংস্থার সঙ্গে 'সহযোগিতা' করে, বা তাদের অনলাইন কনটেন্টের হাইপারলিঙ্কও পোস্ট করে, তাঁর ছয় বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
এই সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে পাঠকের সংখ্যা প্রায় ১.৫ কোটি। তার সিংহভাগই ছিলেন রুশ ব্যক্তিরা। তবে স্বাধীন, বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের কন্ঠরোধেরও অভিযোগ ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে। তবে এই সমস্যা নতুন নয়। বহু যুগ ধরেই রাশিয়ায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খণ্ডনের খবর বারবার প্রকাশিত হয়েছে।
রাশিয়ায় বেশিরভাগ সংবাদসংস্থাই সরকারি/সরকার-নিয়ন্ত্রিত। গত বছর ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষের সময়ে সেই বিষয়টি আরও উঠে এসেছিল। সরকারের সমস্ত পদক্ষেপের বন্দনা করা ও সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে।
মেডুজা এই নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে তারা জানায়, 'আমরা দাবি করতেই পারি যে একটুও ভয় পাইনি, এবং এই নতুন পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নই -তবে সেটি সত্যি নয়। আমরা আমাদের পাঠকদের জন্য ভীত। তার পাশাপাশি যাঁরা বহু বছর ধরে মেডুজাতে কাজ করছেন, তাঁদের জন্যও আমরা চিন্তিত। আমরা আমাদের প্রিয়জন এবং বন্ধুদের জন্যও ভীত।