সরকার বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্স। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় ১৪ পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের পর রাজপথে নেমেছে দেশটির বিদ্রোহী পুলিশ কর্মকর্তারা।
এসময় তারা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ ও টায়ার জ্বালানোর মাধ্যমে প্রতিবাদ এবং সহকর্মীদের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য সরকারকে দায়ী করেন।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির বাসভবন এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘেরাও করেন। চলমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্বার্থে রাজধানীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক স্থাপনা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিবিসি বলছে, ক্যারিবিয়ান এই দেশটির পুলিশ স্টেশনে বিভিন্ন গ্যাং হামলায় চলতি বছরের শুরু থেকে ১৪ জন কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাইতির পুলিশ জানিয়েছে, শুধুমাত্র বুধবারই বন্দুকযুদ্ধে সাতজন অফিসার নিহত হয়েছেন। দেশটির মিডিয়া আউটলেট ভ্যান্ট বেফ ইনফোর তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্স এবং গোনাইভস শহরে পুলিশ কর্মকর্তারা ‘ক্রোধে’ রাস্তায় নেমেছিলেন এবং জ্বলন্ত ব্যারিকেড তৈরি করেন।
ন্যাশনাল নেটওয়ার্ক অব দ্য ডিফেন্স অব হিউম্যান রাইটস নামে হাইতিয়ান এক মানবাধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে, এরিয়েল হেনরি ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে ৭৮ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ক্যারিবিয়ান এই রাষ্ট্রটিতে একাধিক অপরাধী গ্যাং সক্রিয় রয়েছে এবং তাদের সংখ্যা ও অস্ত্র অনেক বেশি হওয়ায় হাইতির পুলিশ তাদের সহিংসতা থামাতে পারেনি। গত সেপ্টেম্বরে, গ্যাংয়ের সদস্যরা পোর্ট-অব-প্রিন্স বন্দরে একটি বড় জ্বালানি ডিপো দখল করে নেয়। সেসময় তারা আমদানি করা জ্বালানি সরবরাহে এবং খাদ্য ও ওষুধ বিতরণে বাধা সৃষ্টি করে।