বিশ্বের একাকী সিংহ রুবেন। পাঁচ বছর ধরে পরিত্যক্ত চিড়িয়াখানায় একা বন্দি। এখন নাকি গর্জন করতেও ভুলে গেছে। মাঝে মাঝে তার কান্নার আওয়াজ গোঙানির মতো ভেসে আসে।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সীমান্তের একটি চিড়িয়াখানা ভগ্নপ্রায়। যুদ্ধের আঁচ স্পষ্ট তার আনাচ কানাচে। নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে এর আগেও দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শেষপর্যন্ত দুই দেশ যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য হয়। সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙেই নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছিল। ভয়ঙ্কর সেই যুদ্ধ ফের রাশিয়ার মধ্যস্থতায় কিছুটা স্থিতাবস্থায় এলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সাঙ্ঘাতিক।
সীমান্ত এলাকার ওই চিড়িয়াখানাও ধ্বংসের মুখে। চিড়িয়াখানার মালিকের মৃত্যু হয়েছে। কিছু পশুপাখিদের স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, বাকিদের মৃত্যু হয়। চিড়িয়াখানার এক কোণায় রুবেন এখনও একা বেঁচে। পরিবার নেই তার, পাঁচ বছর ধরে একটা খাঁচায় বন্দি।
এডিআই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিভাগের এক পশু বিশেষজ্ঞ জ্যান ক্রিমার বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল রুবেনকে। তার পরিবার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কারণ সিংহরা একা থাকতে পারে না। তারা পরিবার নিয়ে বাস করে। কিন্তু তার আর সুযোগ হয়নি। যুদ্ধের কারণে অনেক পশুপাখি মারা যায় চিড়িয়াখানায়। পরিত্যক্ত চিড়িয়াখানাটি টিমটিম করে চলছে। শুধু রুবেনের জন্যই খাবার আসে।
রুবেনের বয়স ১৫ বছর। জ্যান বলছেন, সিংহরা গর্জন করে শিকার ধরার সময়ে এবং পরিবারের সঙ্গে কথোপকথন চালানোর সময়। এই গর্জনই হল তাদের যোগাযোগের মাধ্যম। কিন্তু বছরের পর বছর খাঁচায় বন্দি একা সিংহ তার প্রজাতির অন্য সিংহদের দেখতে পায়নি। তাই সে গর্জন করতেও ভুলে গেছে। খাঁচা থেকে এখন গোঙানির আওয়াজ ভেসে আসে।
শারীরিকভাবেও অসুস্থ রুবেন। তার দাঁত খারাপ হয়ে গেছে, চোখের দৃষ্টি ঝাপসা। স্নায়ুতন্ত্রে জটিল রোগ দেখা দিয়েছে। সিটি ও এমআরআই স্ক্যান করে পশু চিকিৎসকরা দেখেছেন,