মজার ছলে প্রেমিককে স্যুটকেসে ভরে তালা বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রেমিকা। এতে প্রেমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রেমিকার বিরুদ্ধে প্রেমিককে খুনের অভিযোগ আনলো পুলিশ।
প্রায় ৩ বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এই ঘটনা ঘটেছিল। জর্জ টরেস জুনিয়র নামের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সারা বুন নামের এক তরুণী। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একদিন নিজেদের বাড়িতে বসে ‘লুকোচুরি’ খেলছিলেন তাঁরা। সঙ্গে চলছিল মদ্যপান। খেলার সময় জর্জ একটি স্যুটকেসের ভিতর লুকিয়ে পড়েছিলেন। যদিও কিছুক্ষণ পরেই প্রেমিককে খুঁজে পেয়ে যান সারা। এরপরেই প্রেমিককে জোর করে ওই স্যুটকেসের ভিতরেই ঢুকিয়ে বাইরে থেকে সেটি বন্ধ করে দেন প্রেমিকা।
প্রথমে সমস্যা না হলেও কিছুক্ষণ পর থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় জর্জের। বন্ধ স্যুটকেসের ভিতর থেকেই চিৎকার করে তিনি বলতে থাকেন, ‘আমার দম আটকে আসছে।’
সারা ভেবেছিলেন, ইচ্ছে করে ছদ্ম-আর্তনাদ করছেন জর্জ। তাই রাগ করে স্যুটকেস না খুলেই ঘুমোতে চলে যান তিনি। ভেবেছিলেন, প্রেমিক নিজেই ঠিক তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবেন। কিন্তু সেরকমটা হয়নি। সকালবেলা ফোনের আওয়াজে ঘুম ভাঙার পর তাঁর খেয়াল হয়, জর্জ কোথাও নেই। আগের রাতের খেলার কথা মনে পড়তেই তড়িঘড়ি সুটকেস খোলেন সারা। দেখেন, অচেতন অবস্থায় তার ভিতরেই পড়ে রয়েছেন জর্জ। শ্বাসও পড়ছে না তাঁর।
ততক্ষণে ‘মজা’র ফল বুঝতে পেরেছেন তিনি। সময় নষ্ট না করে ৯১১ ডায়াল করে পুলিশে খবর দেন সারা। তারপর তো থানা-পুলিশ-হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি। চিকিৎসকরা জানান, শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে জর্জের।
এই ঘটনায় সেই সময়েই সারাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সারার দাবি, ব্যাপারটা যে এই জায়গায় পৌঁছাবে, তা তিনি ঘুণাক্ষরেও অনুমান করতে পারেননি। যদিও এসব কথায় মন গলেনি পুলিশ কিংবা আদালতের। ঘটনার তিন বছর পর প্রেমিকার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে পুলিশ।