রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাটে আখ ও খেজুরের ভেজাল গুড় তৈরি হচ্ছে এবং উৎপাদিত এই ভেজালগুড় বিক্রয় হচ্ছে স্থানীয় বাজারসহ ও দেশের বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে। সাধারনত শীতকালে আখ ও খেজুরের গুড় উৎপাদন হয়। শীতকালে কৃষকরা কৃষি কাজের পাশাপাশি খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে খেজুর গুড় উৎপাদন করে। উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তার নিরাবতার সুযোগ নিয়ে সরকারী নিষিদ্ধ আখ মাড়াই কল ও কেমিক্যালযুক্ত উপাদান দিয়ে গুড় তৈরি করছে উপজেলার এক শ্রেনী অসাধু ব্যবসায়ী চক্র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আখের গুড় তৈরিতে ব্যবহার করছে সুগারমিলের পরিত্যক্ত গো খাদ্য চিটাগুড়, চিনি, হাজার পাওয়ারের রং ও আটা। খেজুর গুড় তৈরিতে গাছিরা ব্যবহার করছে রসের পাশাপাশি চিনি, রং এবং আটা। সাধারনত অধিক লাভ ও ওজন বৃদ্ধির জন্য গুড় উৎপাদনকারীরা এ সকল ক্ষতিকর গো-খাদ্যসহ বিভিন্ন কেমিক্যালগুলো ব্যবহার করছে। এ প্রসঙ্গে মেডিকেল অফিসার আতিকুল হক রতন বলেন, ক্ষতিকর গো-খাদ্য ও কেমিক্যাল ব্যবহারে উৎপাদিত গুড় খেলে মানব শরীরে পেটের বিভিন্ন রোগ ছাড়াও ক্যানসারের মতো ভয়ানক রোগ হওয়ার সম্ভাবন রয়েছে।
এ সকল এলাকায় সরকারীভাবে নিষিদ্ধ আখ মাড়াই কল দিয়ে আখের রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করছেন। এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের জন্য সামান্য পরিমান আখের রসের মধ্যে গো-খাদ্যে ব্যবহৃত চিটাগুড়, হাইড্রোজ, রং ও চিনি ব্যবহার করে তৈরি করছেন ভেজাল আখের গুড়। এছাড়াও খেজুর গুড় তৈরিতে ব্যবহার করছেন চিনি, আটা, হাইড্রোজ ও কেমিক্যাল রং। এলাকাবাসীরা জানান এ সকল ভেজাল আখ ও খেজুর গুড় স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে বাজারজাত করছেন।
স্বাস্থ্য স্যানিটারি পরিদর্শক আফজাল হোসেন বলেন প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা লোকমান হোসেন কে সঙ্গে নিয়ে মেরামতপুর ও মিয়াপুরের কয়েকটি গুড়ে কারখান পরিদর্শন করেন। প্রাপ্ত স্যাম্পল পরিক্ষা শেষে মাত্রাতিরিক্ত কেমিকেল পাওয়া গেছে। তবে খুব দ্রুত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।