নিউজিল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য তাঁর কোনো অনুতাপ নেই। তাঁর পদত্যাগ করার সিদ্ধান্তে তাঁর সমর্থক ও সমালোচনাকারীরা শোকাহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানানোর এক দিন পর জেসিন্ডা বলেছেন, তিনি দুঃখের সময় পার হয়ে এখন স্বস্তি অনুভব করছেন।
জরিপ বলছে, আগামী অক্টোবর মাসে পুনর্নির্বাচিত হতে জেসিন্ডার দলকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে প্রকাশ্যে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন না।নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডের নাপিয়ের শহরে বিমানবন্দরের বাইরে আজ শুক্রবার লেবার পার্টির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন জেসিন্ডা। তাঁদের উদ্দেশে জেসিন্ডা বলেন, তিনি অনেক দিন বাদে ভালো ঘুমিয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জেসিন্ডা বলেন, তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে নারীবিদ্বেষের কোনো ভূমিকা ছিল না।জেসিন্ডা আরও বলেন, নেতৃত্বে থাকা নারী ও ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে চান এমন মেয়েদের জন্য তাঁর বার্তা রয়েছে। সেটা হলো, 'আপনার পরিবার থাকতে পারে, আপনি তাতে নানা দায়িত্বে থাকতে পারেন। আপনি নিজস্ব ধরনে নেতৃত্ব দিতে পারেন।'গত বৃহস্পতিবার জেসিন্ডা বলেন, তিনি ভবিষ্যতে পরিবারকে বেশি সময় দিতে চান। পরের বছর তাঁর মেয়ে স্কুলে যাবে। তিনি মেয়ের সঙ্গে থাকতে চান।আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদত্যাগ করবেন জেসিন্ডা। আগামী রোববার নেতা নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যরা। যদি কোনো প্রার্থী দলের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন না পান, তাহলে লেবার পার্টিতে বড় পরিসরে ভোটাভুটি হবে।
জেসিন্ডা বলেছেন, তিনি আশা করছেন, আগামী রোববার তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচিত হবেন।জেসিন্ডার উত্তরসূরি হিসেবে বেশি পছন্দের প্রার্থী হলেন ক্রিস হিপকিনস। তিনি শিক্ষা ও পুলিশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। ৪৪ বছরের হিপকিনস ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে কোভিড-১৯-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। সরকারিভাবে মহামারি মোকাবিলা কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন তিনি।