নওগাঁর পাইকারি মোকামে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। চিকন চাল প্রতি কেজিতে ২ টাকা আর মোটা চালে দেড় টাকা বেড়েছে।
নওগাঁর পাইকারি মোকামে চালের দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে সরু জাতের নাজিরশাইল ৫৮ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, জিরাশাল ৬২ থেকে বেড়ে ৬৪ টাকা, মিনিকেট ৬০ থেকে বেড়ে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের মধ্যে গুটি স্বর্ণার দাম প্রকারভেদে দেড় থেকে ২ টাকা করে বেড়েছে।
অপরদিকে বাজারে পর্যাপ্ত চাল সরবরাহ থাকার পরও দর বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি চালের দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। এদিকে ধানের সরবরাহ কমায় চালের দাম বেড়েছে বলে জানান মিলাররা।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত থাকার পরও চালসহ খাদ্যপণ্যের দাম বেশি। বিশেষ করে সরু চালের দাম এখনো বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বেড়েছে। শিপিংসহ সব পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। তবে সিন্ডিকেটের কারণে চালের দামে প্রভাব পড়েনি। চাল আমদানি করলে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হতে পারে। তবে এখনো চাল আমদানির অনুমতি নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নওগাঁয় ধান-চালের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে অভিযানে নামে প্রশাসন। নওগাঁর সর্ববৃহৎ পাইকারি চালের আড়ত আলুপট্টি বাজার ও পৌর চাল বাজারে এই অভিযান চালানো হয়। নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় শহরের বিভিন্ন চালের পাইকারি আড়ত ও খুচরা বাজারে ঘুরে ঘুরে দাম যাচাই করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীর রাখতে নিয়মিত মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখা হচ্ছে। যেখানে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা হয়েছে, সেখানে জরিমানা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি রাইস মিলে মাত্রাতিরিক্ত মজুতের কারণে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বর্তমানে নওগাঁয় চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
রাজশাহীর সময় / এফ কে