শারীরিক সুস্থতা আর মানসিক প্রশান্তির জন্য নিয়মিত ধ্যান করতে পারেন যেভাবে


ফারহানা জেরিন: , আপডেট করা হয়েছে : 19-01-2023

শারীরিক সুস্থতা আর মানসিক প্রশান্তির জন্য নিয়মিত ধ্যান করতে পারেন যেভাবে

শারীরিক সুস্থতা আর মানসিক প্রশান্তির জন্য নিয়মিত ধ্যান করা জরুরী। প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে মন শান্ত না হলে সহজে স্বস্তি মেলে না‌। অনবরত এটা ওটা ভাবতে থাকা মনকে একমাত্র শান্ত করতে পারে মেডিটেশন বা ধ্যান। মেডিটেশন মনের সঙ্গে আমাদের প্রতিটি স্নায়ুকে শান্ত করে। অল্পক্ষণেই মাথার মধ্যে জট পাকানো হাজার রকম চিন্তাভাবনা ভুলিয়ে দেয়। তবে এই ধ্যান শিখতে আপনাকে যেতে হবে না কোনও প্রশিক্ষকের কাছে। বরং বাড়িতেই কিছু সহজ উপায়ে নিজের চেষ্টায় মেডিটেশন করতে পারবেন।

ঠিক কী কী চান :

ধ্যান করে কেবল মনের প্রশান্তিই মেলে না। ধ্যানে মেলে নানা জটিল সমস্যারও সমাধান। তাই ধ্যানে বসবার আগে ঠিক করে নিন আপনি কী কী সমাধান করতে চান। মন শান্ত থাকায় ও অকাজের চিন্তা দূর হওয়ায় মেডিটেশনে আপনি সহজেই কাঙ্খিত বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারবেন

পদ্ধতি বাছুন :

মেডিটেশন অনেকভাবেই করা সম্ভব। আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনার পছন্দের পদ্ধতিটি। অনেকে বাবু হয়ে বসে মেডিটেশন করেন যা সবচেয়ে রিল্যাক্সড পদ্ধতি। আবার অনেকে পায়চারি করতে করতে মেডিটেশন করে থাকেন, তবে সেটি নেহাতই ব্যস্ততার কারণে।

সময় ঠিক করুন :

দিনের বেশিরভাগ সময়েই ব্যস্ততার কারণে হয়তো রুটিন মাফিক সব কাজ করা হয়ে ওঠে না আপনার। তবে মেডিটেশন করতে হলে তা কিন্তু প্রতিদিন নিয়ম মেনে করা উচিত। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় মেডিটেশনের জন্য বাঁচিয়ে রাখুন। সেই সময়টায় ফাঁকা পরিবেশে মেডিটেশনের অভ্যাস করুন।

ভাবার চেষ্টা করুন :

একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে মন দিয়ে ভাবার চেষ্টা করুন। এটি মেডিটেশনের আগের ধাপ। অন্য কোনও বিষয়ে মনকে ডাইভার্ট না করে মনকে যেকোনও একটি চিন্তায় ডুবিয়ে দিন। যেমন আপনি ভাবতে পারেন কোনও সুন্দর সিনারিওর কথা। মেডিটেশন শুরুর আগে শুধু সেটা নিয়েই ভাবুন। ভাবা ছাড়াও আপনি কোনও হালকা সুরের গান শুনতে পারেন যা আপনার মনকে ধীরে ধীরে শান্ত করে।

জোরে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন :

মেডিটেশনের সময় দুই নাক দিয়ে যতটা সম্ভব বেশি শ্বাস নিন ও তারপর মুখ দিয়ে অল্প অল্প করে সেই শ্বাস ছাড়ুন। সারাদিনের কাজকর্মের ফলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়। অক্সিজেনের ঘাটতি আপনার শরীরকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে দেয়। এভাবে শ্বাস গ্ৰহণ ও বর্জনের ফলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়।

ভালো জায়গা বাছুন :

মেডিটেশনের জন্য বেছে নিন একটা ভালো জায়গা। যে জায়গায় আপনি একা সময় কাটাতে ভালোবাসেন বা যেখানে কোনোরকম আওয়াজ নেই, বেছে নিন তেমন জায়গা। আপনার বেছে নেওয়া জায়গায় অনবরত আওয়াজ হতে থাকলে আপনি কিছুতেই মেডিটেশনে মনঃসংযোগ করতে পারবেন না।

বাধা পেলে যা করবেন :

মেডিটেশনে বাধা পেলে ঠিক কী করবেন সেটিও কিন্তু জেনে রাখা দরকার। মেডিটেশন আপনার একা থাকার প্রক্রিয়া। এতে আপনি আপনার দেহ ও মনকে সম্পূর্ণরূপে শান্ত করেন। তাই মেডিটেশনের মাঝে কোনও কারণে বাধা পেলে চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব শান্ত মনে তাতে রিয়্যাক্ট করতে। কোনোভাবেই যেন বিরক্ত হবেন না। এতে আপনার মনে যেটুকু শান্তভাব এসেছিল তা এক মূহুর্তে নষ্ট হয়ে যাবে।

সময় বাড়ান :

মেডিটেশনের সময় ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকুন। যে জিনিসে আপনি শান্তি পান, তার জন্য স্বাভাবিকভাবেই বেশি সময় দেওয়া উচিত।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]