প্রেমিকের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা


অনলাইন ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 18-01-2023

প্রেমিকের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

পাবনার বেড়া উপজেলার পৌর সদরে সুস্মিতা খাতুন (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে নিজ বাড়িতে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহত কলেজ ছাত্রী বেড়া পৌর এলাকার সান্ড্যালপাড়া মহল্লার জাহিদুল ইসলাম এর মেয়ে। তিনি বেড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

প্রেমিকের দেয়া বিয়ের প্রস্তাব ছাত্রীর পরিবারের লোকজন প্রত্যাখ্যান করে। এতে তার প্রেমিক মঙ্গলবার তাকে প্রহৃত ও লাঞ্ছিত করেন। এ অভিমানে তিনি কলেজ থেকে বাড়ি ফিরেই আত্মহত্যা করেন। মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আসাদুজ্জামান।

স্থানীয়রা এবং ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, সুস্মিতা খাতুনের সাথে সাথিঁয়া উপজেলা সোনাতলা গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে আশিকের সাথে মোবাইল ফোন সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি আশিক তার বাবাকে দিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। সুস্মিতার বাবা সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে প্রেমিক আশিক অপমানিত বোধ করেন এবং প্রেমিকাকে অপমান করে তার প্রতিশোধ নেন।

এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার কলেজ শেষে সুস্মিতা বাড়ি ফেরার পথে আশিক পথরোধ করেন ও বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আশিক ওই কলেজছাত্রীকে শারীরিকভাবেও আঘাত করেন। লাঞ্ছিত ওই কলেজের ছাত্রী বাসায় এসে তার মাকে এ ঘটনা বলেন। এর কিছু সময় পর সবার অগোচরে তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস নেন। বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় তাকে ডাকাডাকি করেন। এতে ঘরের দরজা না খোলায় তারা ঘরের দরজা ভেঙে সুম্মিতাকে ফাঁস লাগা অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাকে দ্রত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মঙ্গলবার রাতে জানান, সংবাদ পাওয়ার পর পরই তিনি ওই ছাত্রীর বাড়ি যান। ওই কলেজ ছাত্রী প্রেমিকের দ্বারা প্রহৃত ও লাঞ্ছিত হয়েছিলেন বলে পরিবারের লোকজন মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। কলেজ ছাত্রীর দাফন কাফনের পর তারা লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সন্ধ্যায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]