ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ৭ টি গাড়ি নিলামে ২ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আরও চারটি গাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। আগামী রোববারের (১৩ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ওইসব গাড়ি জমা দেওয়া না হলে পুলিশি অভিযান পরিচালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ধানমন্ডি ১৪ নম্বর সড়কে ভিক্টোরিয়া কনভেনশন সেন্টারে এই নিলাম শুরু হয়। নিলাম শেষে এসব তথ্য জানান ইভ্যালির অন্তবর্তীকালীন বোর্ড প্রধান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এ সময় বোর্ডের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি মানিক জানান, রেঞ্জ রোভার নামের প্রথম গাড়িটি বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার। দ্বিতীয়টি ১৭ লাখ ৩০ হাজার, তৃতীয়টি ২৩ লাখ ৮০ হাজার, চতুর্থটি ১৫ লাখ ৩৫ হাজার, পঞ্চমটি ১৫ লাখ, ৬ষ্ঠটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার ও সপ্তমটি ২০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নিলামে সাতটি গাড়ি বিক্রি হয় সর্বমোট ২ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়।
বিচারপতি মানিক বলেন, ‘নিলামে পাওয়া এই মূল্যে আমরা সন্তুষ্ট। এর বাইরেও আমরা আরও চারটি গাড়ির সন্ধান পেয়েছি। ইভ্যালির এমডি রাসেল তাদের ওই গাড়িগুলো ব্যবহার করতে দিয়েছেন। আমরা তাদের বাসার ঠিকানাও পেয়েছি। আগামী রোববারের মধ্যে এসব গাড়ি জমা না দিলে পুলিশি অভিযান শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অডিটের জন্য নতুন একটি প্রতিষ্ঠান পেয়েছি, যারা আগের প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কম দাম নেবে। এছাড়া ইভ্যালির সার্ভার চালু করতে অ্যামাজন মোটা অংকের টাকা চেয়েছে, আমরা তাদের সঙ্গে দরকষাকষি করছি।
নিলামে ইভ্যালির রেঞ্জ রোভার গাড়িটির দর হাঁকিয়েছিলেন ১৫ জন। এর মধ্যে ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার সর্বোচ্চ দর হাঁকিয়ে গাড়িটি কিনে নেন ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি।’ নিলামের শুরুতে গাড়িটির ন্যূনতম নিলাম দর এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ধরা হয় বলে জানান বিচারপতি মানিক।
গত ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের ওই কমিটি গঠন করে দেয় হাইকোর্ট। এই কমিটি নিলাম প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছে।
রাজশাহীর সময় / এফ কে