এলার্জি শব্দটা যদিও আজ আর কারও কাছে নতুন কিছু নয়, তবুও এটা সম্পর্কে সার্বিক ধারণা থাকা সবার জন্য অতীব জরুরি। কেননা শ্বাসকষ্ট, একজিমাসহ বহু চর্মরোগের জন্য দায়ী এই এলার্জি। ধূলাবালি, ফুলের রেনু, নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও ঔষধ মানুষের শরীরে প্রদাহজনিত যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে সাধারণভাবে তাকেই আমরা এলার্জি বলে জানি। কিন্তু কিছু খাবার আছে যেগুলো থেকে অনেকেরই এলার্জি হয়। এ কারণে যারা মাঝেমাঝেই এলার্জিতে ভোগেন, এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন..
১) দুধ-পুষ্টিকর হলেও অনেকের সেটা ‘সয়’ না। ল্যাকটোজেন ইনটলারেন্সের কারণে পেটের সমস্যায় ভোগেন।
২) ডিম-ডিমের সাদা অংশ থেকে এলার্জি হতে পারে। এই অংশে বেশি পরিমাণে প্রোটিন আছে যা হজম করতে অনেকেরই সমস্যা হয়।
৩) কিছু সবজি এবং ফলের কারণে অনেকের ত্বকে এলার্জি হতে পারে। যেমন- বেগুন, মিষ্টিকুমড়ো।
৪) লেবুতেও অনেকের এলার্জির সমস্যা হতে পারে। লেবুর রস রক্তের সাথে মিশে গেলে অনেকেরই হাতে-পায়ে র্যাশ দেখা যায়। লেবুর রস সরাসরি ত্বকে লাগলেও অনেকের এলার্জি শুরু হয়ে যায়।
৫) চীনাবাদাম এবং চীনাবাদামের তৈরি যেকোনও খাবার অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। ত্বকে র্যাশ বের হয়, শ্বাসনালী ফুলে উঠে, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়।
৬) অনেকেরই চিংড়ি মাছ সহ্য হয়না। কাঁকড়া থেকেও হতে পারে এলার্জি। এতে সাধারণত ত্বক ও পাকস্থলীতে এলার্জি হয়।
৭) আনারসের কারণে অনেকের শ্বাসনালী ও মুখের ভিতরে র্যাশ দেখা দেয়, মুখ ফুলে ওঠে।
৮) কোকো পাউডার অনেকেই হজম করতে পারেন না, ফলে খাওয়ার পর পরই ত্বকে র্যাশ উঠতে দেখা যায়।