নেপালে দুর্ঘটনার শিকার ইয়েতি এয়ারলাইনসের বিমানটি পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যান্ড করার মাত্র ১০ সেকেন্ড আগে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। বিমানগুলোকে বিশেষভাবে কম উচ্চতায় উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত করা হয়। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, পোখারা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানটি পোখারা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ল্যান্ড করার মাত্র ১০ সেকেন্ড আগে বিধ্বস্ত হয়।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে বিমাটির পাইলট বিমানবন্দরের পূর্ব প্রান্ত দিয়ে ল্যান্ড করার অনুমতি চান। তাকে অনুমতি দেয়াও হয়। কিন্তু একটু পরই পাইলট বিমানবন্দরের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে ল্যান্ড করার অনুমতি চান। এবারও তাকে অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু এবার ল্যান্ড করার মাত্র ১০ সেকেন্ড আগে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় পোখরা ভ্যালির আবহাওয়া বিমান ল্যান্ডিংয়ের প্রতিকূল ছিল না। তারপরও কেন দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
বিমানটি পোখারার পুরাতন বিমানবন্দর এবং বর্তমান পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যবর্তী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। জায়গাটি নেপালের অন্যতম প্রধান নদী সেতি গাণ্ডকির তীরে বনাঞ্চলে অবস্থিত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ৬৮ জন যাত্রীর মধ্যে ৫৩ জন নেপালি, পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রুশ, আইরিশ একজন, কোরীয় নাগরিক দুজন, আর্জেন্টিনা এবং ফরাসি নাগরিক একজন করে। দুই কোরীয় নাগরিক কোন কোরিয়ার সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। মোট ৬৭ জনের নাগরিকত্ব জানা গেলেও বাকি একজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।