অতিমহামারীর দাপট কমতেই হজযাত্রার নিয়মে একাধিক বিধিনিষেধ তুলে নিল সৌদি আরব। সোমবার সৌদির হজ এবং উমরাহ মন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ জানিয়েছেন, আসন্ন হজযাত্রায় তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা এবং বয়সের কোনও সীমা রাখা হচ্ছে না। যে কোনও বয়সের মানুষই হজে অংশ নিতে পারবেন। এর ফলে এই বছর হজযাত্রায় বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী সমাগম হতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সোমবার হজ এবং উমরাহ মন্ত্রকের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের ‘হজ এক্সপো’র সূচনায় মন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ ঘোষণা করেছেন, ‘১৪৪৪ ইসলামিক বর্ষে হজযাত্রীর সংখ্যা করোনাভাইরাস পূর্ববর্তী সময়ের মতো হতে চলেছে, বয়সেরও কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না।
আগামী জুন মাসের শেষে হজযাত্রা শুরু হতে চলেছে। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এবারের হজযাত্রায় সেইসব তীর্থযাত্রীদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, যাঁরা আগে কখনও হজে যাননি। ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ হজযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা অতিমহামারীর কারণে পুণ্যার্থীদের সংখ্যায় রাশ টেনেছিল সৌদি সরকার। ২০২২ সালেও ১৮-৬৫ বছর বয়সি অন্তত ১০ লক্ষ বিদেশির হজে যাওয়ার আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে বিধিনিষেধ অনেকটাই আলগা করল প্রশাসন।
তবে এখনও কিছু নিয়ম জারি রেখেছে সৌদি সরকার। যেমন, আবেদনকারীদের অবশ্যই জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বৈধ জাতীয় কিংবা আবাসিক পরিচয়পত্র থাকতে হবে। এছাড়া কোভিড-১৯ এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র থাকতে হবে। তাছাড়া হজে আসার অন্তত ১০ দিন আগে এসিওয়াইডব্লু কোয়াড্রুপল মেনিনজাইটিস টিকাকরণের শংসাপত্রও থাকাও বাধ্যতামূলক।