উত্তর মেরু ভ্রমণের সময় ভীষণ বিপদে পড়েছিলেন প্রিন্স হ্যারি । সেই গল্পই শুনিয়েছেন তিনি। জমে যাওয়া যৌনাঙ্গের গল্প শুনে হাসিতে ফেটে পড়েছেন টুইটারাইটরা।
এমনিও ব্রিটিশ রাজপুত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাকটিভ। ব্রিটেনের রাজপরিবারের অনেক গোপন কথা খোলাখুলি তিনি লিখেছেন তাঁর আত্মকথা ‘স্পেয়ার’-এ। তাছাড়া নেটফ্লিক্সের সিরিজেও ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্দরমহলের খবর শুনিয়ে বেশ বিতর্কের মুখেও পড়েছিলেন তিনি। রাজা চার্লস ও প্রিন্স উইলিয়ামদের বিরাগভাজনও হতে হয়েছিল তাঁকে। তবে বিতর্ককে খুব একটা পাত্তা দেননি প্রিন্স হ্যারি। বরাবরই ডাকাবুকো স্বভাবের তিনি। খোলামেলা আলোচলা করতেও স্বচ্ছন্দ। তাঁর ভক্ত সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, উত্তর মেরুতে সমাজসেবামূলক কিছু কাজে গিয়েছিলেন তিনি। সেটা ২০১১ সাল। তাপমাত্রার পারদ হিমাঙ্কের বহু নীচে, যেন বরফের সমুদ্রে হাঁটতে হচ্ছিল তাঁকে। তাছাড়া বরফস্নানও করেছিলেন। আর তাতেই তাঁর নাক, গালে ফ্রস্টবাইট বা তুষারক্ষত হয়েছিল। লাল হয়ে র্যাশ বেরিয়ে গিয়েছিল সারা হাতে। সেই সঙ্গেই তাঁর যৌনাঙ্গেও ফ্রস্টবাইট হয়েছিল।
সেই সময় দাদা যুবরাজ উইলিয়াম ও কেটের বিয়ে ছিল। ফ্রস্টবাইট হওয়া যৌনাঙ্গ নিয়েই বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। হ্যারি বলছেন, নাক ও গালের ক্ষত সেরেছিল অল্পদিনেই। কিন্তু যৌনাঙ্গের ক্ষত কিছুতেই সারছিল না। সেই দিনগুলো ছিল খুবই যন্ত্রণার। ব্রিটিশ রাজপুত্র বলছেন, ফ্রস্টবাইট হয়ে মারাত্মক ক্ষত হয়ে গিয়েছিল যৌনাঙ্গে। ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছিল তাঁর। ওষুধ খেয়েও সারছিল না। তাছাড়া বিষয়টা এতটাই গোপনীয় ও লজ্জার যে সঙ্কোচে কাউকে সেভাবে জানাতেও পারছিলেন না তিনি। তাছাড়া বিয়েবাড়িতে এমন কথা নিয়ে আলোচনা করাও লজ্জার।
প্রিন্স হ্যারির যন্ত্রণা নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি, তবে ফ্রস্টবাইট হওয়া যৌনাঙ্গ বেশ চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে টুইটারে। হাস্য-কৌতুকও চলছে। এক টুইটারাইট মজা করেই বলেছেন, বিয়ের মেনুতে এমন নতুন জিনিস সার্ভ করা গেলে বেশ হত!