নতুন শিক্ষাক্রম হবে আনন্দময়: শিক্ষামন্ত্রী


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 12-02-2022

নতুন শিক্ষাক্রম হবে আনন্দময়: শিক্ষামন্ত্রী

নতুন শিক্ষাক্রমে পঠন-পাঠন শিশু-কিশোরদের জন্য আনন্দময় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শনিবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিশু-কিশোরদের জন্য পঠন-পাঠন পুরো বিষয়টাকেই আনন্দময় করতে চাই। ভিশন রকমের পরীক্ষার চাপ যেন না থাকে। শিশুরা নিজেরাই করে শিখবে। একটি আনন্দময় পরিবেশে তারা শিখবে। যে শিক্ষাটি তারা জীবনে কাজে লাগাতে পারবে।

সবার ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি নতুন শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের লক্ষ্যসবার ক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি করা, সেটি হয়ত আগে সেভাবে ছিল না। বৈশ্বিক যে আকাঙ্ক্ষা আছে তা যেন পূরণ হয় সে লক্ষ্য আমাদের রয়েছে। আমরা যেন সঠিক জায়গাতে পৌছাতে চায়। সেজন্য বিশেজ্ঞরা আমাদের পথ দেখাচ্ছেন।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রথমে হয়তো কিছু ভুল হতে পারে। তবে তা প্রিন্টিং শেষ করার আগে সেইসব সংশোধন করা সম্ভব হবে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের মুখস্থ চর্চা থেকে মেধা চর্চায় মনোনিবেশ করতে হবে। জনসংখ্যা অনুযায়ী স্কিল বেইজ শিক্ষা প্রয়োজন। শুধু কারিকুলাম পরিবর্তন করলে হবে না সেটি বাস্তবায়নে সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, নতুন কারিকুলামে গ্রামের শিশুদের সঙ্গে শহরের শিশুদের বৈষম্য না থাকে সেদিকে নজর দেয়া হয়েছে।

কর্মশালায় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন আনন্দময় করতে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের কাজ নেয়া হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা শুধু মেধা নয়, নিজেরা নিজেদের মতো করে তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারবে। মানুষের মস্তিষ্ক মুখস্থ করার জন্য নয়, তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন হলে তথ্য মাথায় নিয়ে শিক্ষার্থীরা আর ঘুরবে না, তারা সেটি বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হবে। নতুন সিস্টেমের কারণে কোচিং ও নোটবই পড়ার প্রবণতা হ্রাস পাবে।

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে খণ্ডে খণ্ডে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিচ্ছি। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে উঠলে তারা গভীর সমুদ্রের মধ্যে পড়ে। জোর করে তাদের উপর বিভিন্ন বিষয় চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মুখস্তবিদ্যা থেকে বেরিয়ে আসতে নতুন কারিকুলাম বড় ভূমিকা রাখবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনসিটিবি চেয়ারম্যান (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের যেসব স্কুলে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে এ ধরনের ১১৫ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এনসিটিবির আওতায় সকল শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এজন্য কিছু শিক্ষককে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে তৈরি করা হবে। তারা অন্যান্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শেষ না হলে এনসিটিবি নতুন শিক্ষাক্রমের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে না।

রাজশাহীর সময় / এফ কে


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]