বাংলাদেশের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের আগ্রহ বাড়ছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 09-01-2023

বাংলাদেশের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের আগ্রহ বাড়ছে

বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন বাইডেন প্রশাসনের আগ্রহ বাড়ছে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মতো মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা, ভূরাজনৈতিক স্বার্থ এবং কৌশলগত কারণে ওয়াশিংটনের এই মনোযোগ বৃদ্ধি বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, বাংলাদেশের তরফে যোগাযোগ বৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। অবশ্য বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এই দৃষ্টিকে সতর্কতার সঙ্গে স্বাগত জানাচ্ছে ঢাকা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু চলতি মাসের মাঝামাঝি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বর্তমানে ঢাকা সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লাউবাচার। নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনের মতো ইস্যু তার আলোচনায় গুরুত্ব পেতে পারে। বাংলাদেশের চাহিদা থাকলে অস্ত্র বিক্রিতেও মার্কিন আগ্রহ লক্ষণীয়। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ঢাকায় মার্কিন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার শাহীনবাগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গুম হওয়া এক বিএনপি নেতার বাসায় গিয়েছিলেন গত ১৪ ডিসেম্বর। ওই সময় বাড়ির বাইরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ফাঁসি হওয়া পরিবারের সদস্যরা ভিড় জমালে রাষ্ট্রদূত দ্রুত স্থানটি ত্যাগ করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে হাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি অবহিত করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বিষয় নিয়ে রাশিয়া মন্তব্য করে যে, যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। রাশিয়া বাংলাদেশকে তার কক্ষপথে তুলতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বিষয়টি নিয়ে কৌশলগত বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিল মস্কো ও ওয়াশিংটন। কৌশলগত ছাড়াও ভূরাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বাংলাদেশ যেন চীনের দিকে বেশি ঝুঁকে না থাকে সে বিষয়ে অনুরোধ করে থাকে। এসব কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক, উদ্বাস্তু, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও সন্ত্রাস দমন, সামুদ্রিক এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান হোয়াইট হাউজে পরিচয়পত্র দানকালে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই মন্তব্য করেন।

অপরদিকে এক বছর আগে র‌্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের ওপর নতুন কোনো খক্ষ নেমে আসে কিনা সেই লক্ষ্যে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে ঢাকা। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান সংবলিত একটি চিঠি সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো না কোনো পর্যায়ে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। এভাবে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। সফরকালে তিনি সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে এই সফরে আলোচনা হলেও নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পেতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের একটি বিশেষ দিক হলো, তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে বেশি মনোযোগী। ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে এমন বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে কম। ট্রাম্প সাধারণত ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি জোর দিয়েছেন। বাইডেন প্রশাসন বরাবরই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে সোচ্চার। যদিও সরকার এটিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ডোনাল্ড লুর সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তিনি এটিকে একটি রুটিন সফর হিসাবে অভিহিত করে সব বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানান। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির প্রতি জোর দেওয়া হবে।

বাইডেনের প্রশংসা : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঢাকার স্থায়ী অংশীদারত্বের কথা উল্লেখ করে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের পরিচয়পত্র গ্রহণকালে এক লিখিত মন্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় রাষ্ট্রদূত ইমরান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা জানান।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে জো বাইডেন বলেন, দুদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য মার্কিন প্রশাসন তার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।

তিনি বলেন, আমার প্রশাসন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে আপনার সঙ্গে কাজ করার জন্য আগ্রহী। কারণ আমরা আগামীর সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব। ওয়াশিংটনে আপনাকে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার লিখিত মন্তব্যে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ‘একটি অসাধারণ গল্প’ হিসাবে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক, উদ্বাস্তু, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও সন্ত্রাস দমন, সামুদ্রিক এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। বাইডেন বলেন, বাংলাদেশ তার বৃহত্তর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তিতে প্রসারিত করেছে, যা বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে একটি প্রধান অংশগ্রহণকারী হতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, আমি আশা করি আমাদের দেশগুলো গণতান্ত্রিক শাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে। আমরা বাংলাদেশের সাফল্যে বিনিয়োগ করছি। সব বাংলাদেশিকে স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ করার এবং তাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষমতাকে সমর্থন করি।

প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তারা এই উদ্বাস্তু ও তাদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়কে সহায়তা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এ মানবিক সংকটের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান খুঁজতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

কোভিড-১৯ মহামারি বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। তিনি বলেন, আমরা সামনের মাস এবং বছরগুলোতে আমাদের ক্রমবর্ধমান অংশীদারত্ব প্রসারিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

করোনাভাইরাস মহামারির পরে প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউজে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের ব্যক্তিগতভাবে পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমরানসহ বিভিন্ন দেশের ১০ জন রাষ্ট্রদূত তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন। হোয়াইট হাউজ থেকে ফেরার পর রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ : গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বাহিনীটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর ২০২১ সালে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এমন প্রেক্ষাপটে এ ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি সতর্কতা নিতে বলেছে সরকার। ‘একতরফা নিষেধাজ্ঞার’ মতো পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের কাজের অগ্রাধিকারের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গটি তার অন্যতম। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে সাতটি অগ্রাধিকার ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব চিঠি পাঠানোর একদিন পর নতুন বছরের প্রথম দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।

৩১ ডিসেম্বর নির্দেশনা দিয়ে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনপ্রধানদের কাছে পাঠানো চিঠিতে মাসুদ বিন মোমেন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে বলেছেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য ২০২৩ সালে করণীয়-সংক্রান্ত ষষ্ঠ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘যে কোনো কূটনীতিক মিশনের মৌলিক কাজ হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখার মধ্য দিয়ে দৈনন্দিন কাজ এগিয়ে নেওয়া। তবে বর্তমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও বাড়তি কাজের চাহিদা রয়েছে।’

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের একটি বিশেষায়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সরকার ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে সরকারি সংস্থা-ব্যক্তির ওপর একই প্রেক্ষাপটে বা অন্য কারণে আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এজন্য নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি সময় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সময়ে সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপনাদের হালনাগাদ তথ্য ও নির্দেশনা দেবে।’


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]