এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় আমানত বেড়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 09-01-2023

এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় আমানত বেড়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা

ব্যাংকগুলোর উল্লেখযোগ্য লেনদেন হচ্ছে এখন এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে। ব্যাংকের এজেন্ট ও আউটলেটগুলো পৌঁছে গেছে গ্রাহকের কাছাকাছি। ফলে এই সেবায় দিনে লেনদেন হচ্ছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। আর এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার গ্রাহকদের অর্ধেকই এখন নারী। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া এই সেবা নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করছে। পাশাপাশি দেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার আওতায় আনার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখছে। কারণ, এজেন্টদের বড় অংশই দেশের বিভিন্ন গ্রাম, হাটবাজার ও ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে।

এজেন্ট ব্যাংকিং-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অক্টোবর শেষে এই সেবায় আমানত বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। গত বছরের অক্টোবরে যা ছিল ২২ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা। ফলে এক বছরে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় আমানত বেড়েছে ৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা।

গত বছরের অক্টোবরে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় গ্রাহক ছিল ১ কোটি ৩১ লাখ ৮৯ হাজার। গত অক্টোবরে যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ ৪২ হাজার। গত অক্টোবরে এই সেবায় পুরুষ গ্রাহকের হিসাব ছিল ৮৫ লাখ ২২ হাজার ও নারী গ্রাহকের হিসাব ছিল ৮২ লাখ ৭০ হাজার। ২০২১ সালের অক্টোবরে পুরুষ গ্রাহকের হিসাব ছিল ৬৯ লাখ ৭৪ হাজার ও নারী গ্রাহকের হিসাব ছিল ৫৭ লাখ ২৩ হাজার। ফলে এক বছরের ব্যবধানে পুরুষ ও নারী গ্রাহকের ব্যবধান কমে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, গত অক্টোবরে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় লেনদেন হয়েছে ৫৯ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। তার আগে সেপ্টেম্বরে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। আগস্টে লেনদেন হয়েছিল ৫৭ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা।

এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার আওতায় শুধু আমানত সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা নয়। এ সেবায় ঋণও মিলছে। গত অক্টোবরে বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্টরা ঋণ দিয়েছে ২৪০ কোটি টাকা।Rajshahi news সেপ্টেম্বরেও একই পরিমাণ ঋণ দিয়েছিল এজেন্টরা। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ৯ শতাংশ সুদে এ ঋণ দেওয়া হয়। যদিও প্রান্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার ঋণের সুদের হার ২০ শতাংশের বেশি।

এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিলও দেওয়া যায়। গত অক্টোবরে এ সেবার মাধ্যমে পরিষেবা বিল পরিশোধ হয়েছে ১৪৫ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যা ছিল ১৩৮ কোটি টাকা। আর এজেন্টদের মাধ্যমে গত অক্টোবরে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে এই সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ২০১৪ সালে। ঐ বছর ব্যাংক এশিয়া ও অগ্রণী ব্যাংক সেবাটি চালু করে। ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা এখন ইউনিয়ন পর্যায়েও নিয়ে গেছে।



Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]