প্রথম সন্তান মেয়ে। চেয়েছিল, দ্বিতীয়জন যেন ছেলে হয়। কিন্তু এবারও কোলে এলো মেয়েই। এটা কিছুতেই মানতে পারল না মা। সন্তান জন্মানোর তিনদিনের মধ্যেই রাগে-দুঃখে সেই শিশুকে খুন করল সে। মহারাষ্ট্রের লাতুরে এ ঘটনা ঘটে । খবর পেয়ে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগেই লাতুরের কাসা জাওয়ালা গ্রামের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ফোন আসে। সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক নার্স ফোনে অভিযোগ করেন, সেখানে এক সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাঁর মনে হচ্ছে মৃত্যুটি একেবারেই স্বাভাবিক নয়। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শুরু করা হয় তদন্ত।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, শ্বাসরোধের কারণেই ওই ফুটফুটে কন্যা সন্তানের মৃত্যু হয়েছিল। এরপরই শিশুর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। সেইসময় শিশুটির মা’কে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল, তখনই তার কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এতে সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সে। নিজের বাচ্চাকে খুন করার কথা স্বীকার করে।
সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় ওই মহিলা জানায়, গত ২৬ ডিসেম্বর তার দ্বিতীয় সন্তান জন্মায়। প্রথম সন্তানটি মেয়ে হওয়ায় স্বামী-স্ত্রী ছেলে হওয়ার আশায় দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি। তাতেই রেগে যায় মহিলা। সন্তান জন্মানোর তিনদিনের মাথায় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই সবার অলক্ষ্যে রুমাল দিয়ে শিশুর গলা পেঁচিয়ে খুন করে।
সূত্রের খবর, বাচ্চাটিকে খুন করার পর আবার বিছানায় শুইয়ে রেখে দেয় ওই মহিলা। তারপর নিজেও একপাশে ফিরে শুয়ে পড়ে। পরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একজন নার্স শিশুটিকে পরীক্ষা করতে এলে দেখেন, বাচ্চাটি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরিবারের তরফে বলা হয়, তারা এসবের বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানে না। আপাতত ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই কাণ্ড ঘটানোর পিছনে তার পরিবারের হাত রয়েছে কিনা, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।