তানোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করায় গর্ভপাত


স্টাফ রিপোটার: , আপডেট করা হয়েছে : 01-01-2023

তানোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করায় গর্ভপাত

রাজশাহীর তানোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করায় পেটের ৭ মাসের সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা ওই প্রসুতীর মৃত বাচ্চা প্রসাব করান।

অন্তঃসত্ত্বা নারী হলেন, তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার মুক্তা (২৫)।

পরে প্রসুতীর অবস্থা অবনতি হওয়ায় শনিবার বিকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

প্রসুতীর পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, গত ১৩ মাস আগে তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের ময়না আক্তার মুক্তার সাথে একই ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামের রবিউল ইসলামের বিয়ে হয়। তবে রবিউলের দ্বিতীয় স্ত্রী ময়না। বিয়ের পর রবিউল তার স্ত্রী ময়নাকে নিয়ে দেবিপুর মোড়ের পাশে জালাল আরমির বাড়িতে ভাড়া থাকতো।

পারিবারিক কলহের জের ধরে এক সপ্তাহ আগে রবিউল তার ৭ মাসের অন্তসত্তা স্ত্রী ময়নাকে বেধড়ক মারধর করে আহত অবস্থায় বাড়ির ভেতরে রেখে তালা দিয়ে চলে যায়। ৭ মাসের অন্তসত্তা ময়না নিজের মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলনি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে সে তার মাকে খবর দেয়। তার মা এসে বাড়ির তালা ভেঙ্গে তাকে উদ্ভার করে। পরে শুক্রবার রাতে ময়নার অবস্থা বেগতিক দেখে তার মা তাকে তানোর থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার ময়নার নরমালে ডেলিভারি করায়। তবে, মৃত বাচ্চা প্রসব হয়।

তানোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তিরত ভুক্তভোগী বলেন, আমার স্বামীর আমি দ্বিতীয় স্ত্রী। আমার বিয়ের পর আমার স্বামী রবিউল আমাকে বলেছিল আমার বাচ্চা হলে সে আমাকে তার তানোর সদরের জায়গা লিখে দিবে ।

জমি দিবেনা বিধায় সে আমার পেটে লাথি, কিল ঘুমি মেরে বাচ্চা মেরে পালিয়ে যায়। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চায়। আমি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছি কিন্তু আমার স্বামী আমাকে দেখতে আসেনি।

তালন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন বাবু বলেন, রবিউল তার স্ত্রী অন্ত:সত্তা ময়নাকে মারধর করেছে সে বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিল। আমি রবিউলকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছিলাম কিন্তু রবিউল আমার কথার কোন কন্যপাত করেনি।

তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ঘটনা আমি শুনেছে তবে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাই নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]