বিজ্ঞানীরা অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন অষ্টম মহাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ঠিক নিচে লুকিয়ে আছে এই মহাদেশটি।
দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে পানিতে তলিয়ে যাওয়া এই মহাদেশটির নাম দেওয়া হয়েছে জিলান্ডিয়া। আকারে ভারতীয় উপমহাদেশের সমান মহাদেশ জিলান্ডিয়া। তাদের অনুমান মহাদেশটির আয়তন ৫০ লাখ বর্গকিলোমিটারের মতো।
অষ্টম মহাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে এর টেকটোনিক ও ব্যাথিমেট্রিক নকশা প্রস্তুত করেছেন নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। সেই সঙ্গে অষ্টম মহাদেশের আয়তনসহ আরও কিছু তথ্যও জানানো হয়েছে।
পৃথিবীর এক ভাগ স্থলের অংশ নয়; বরং তিন ভাগ পানির তলায় অবস্থান জিলান্ডিয়ার। বহু বছর আগে এই অষ্টম মহাদেশ সমুদ্রের অতলে তলিয়ে গেছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
জিলান্ডিয়া নিয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে গবেষণা করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। মহাদেশটির নানান তথ্য জানার জন্য সম্ভাব্য একটি মানচিত্রও তৈরি করে ফেলেছেন। নিউজিল্যান্ডের গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএনএস সায়েন্স বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সেই প্রতিষ্ঠানটিই প্রকাশ করেছে অষ্টম মহাদেশখ্যাত জিলান্ডিয়ার মানচিত্র।
একটি মহাদেশ যে সাগরে তলিয়ে যাওয়ার পরও অখণ্ড থাকতে পারে, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে জিওলজিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকায় প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা বলছেন, পার্শ্ববর্তী অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান হবে নতুন এই মহাদেশটি।
তবে, প্রায় ৯৪ শতাংশই তলিয়ে আছে সাগরের পানিতে। অল্প কিছু অঞ্চল নিউজিল্যান্ডের নর্থ, সাউথ আইল্যান্ড এবং নিউ ক্যালেডোনিয়ায় পানির ওপর মাথা তুলে আছে এটি। গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ ফুট গভীরে তলিয়ে গেছে এই মহাদেশ।
একটি মহাদেশের স্বীকৃতি পেতে যা দরকার, জিলান্ডিয়া তার সব কটি পূরণ করেছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের বর্তমান প্রচেষ্টা পৃথিবীর মহাদেশের তালিকায় আরেকটি নাম যুক্ত করার সঙ্গে নব আবিষ্কৃত তলিয়ে যাওয়া ভূখণ্ডের জন্য মহাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায়।
রাজশাহীর সময় / এম জি