পরিবারের অভিভাবক তার অধীনস্থ স্ত্রী-সন্তানদের জন্য আল্লাহর কাছে কী দোয়া করবেন; আল্লাহ তাআলা তা কোরআনে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। নিজ পরিবারের জন্য হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম যে দোয়া করেছিলেন, আল্লাহর কাছে তা পছন্দ হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা সে দোয়া উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য কোরআনে পাকে তুলে ধরেছেন। কী সেই দোয়া?
মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি অভিভাবক যেন হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের মতো তাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির জন্য আল্লাহর কাছে আবেগ ও কোরআনের ভাষায় এভাবে কল্যাণ কামনা করতে পারে-
رَبَّنَا لِیُـقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ فَاجۡعَلۡ اَفۡئِدَۃً مِّنَ النَّاسِ تَهۡوِیۡۤ اِلَیۡهِمۡ وَارۡ زُقۡهُمۡ مِّنَ الثَّمَرٰتِ لَعَلَّهُمۡ یَشۡکُرُوۡنَ
উচ্চারণ : রাব্বানা- লিয়ুক্বিমুস সালাতা ফাঝআ’ল আ’ফই’দাতাম মিনান নাসি তাহ্ওয়ি ইলাইহিম ওয়ারযুক্ব্হুম মিনাছ ছামারাতি লাআ’ল্লাহুম ইয়াশকুরুন। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৩৭)
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তারা যাতে নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। কাজেই তুমি মানুষের অন্তরকে তাদের প্রতি অনুরাগী করে দাও। আর ফল-ফলাদি দিয়ে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা কর; যাতে তারা (আল্লাহ তাআলার) শুকরিয়া আদায় করতে পারে।
উল্লেখ্য, হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম মানুষজন ও খাদ্যবিহীন মরুভূমিতে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে যাওয়ার সময় আল্লাহর কাছে তিনি এ দোয়া করেছিলেন। সে দোয়া আল্লাহ তাআলার কাছে এতটাই পছন্দনীয় হয়েছিল, যা তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর জন্য তুলে ধরেছেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব অভিভাবকের এ দোয়াকে কবুল করুন। প্রত্যেকের পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্ততিকে নামাজি, দ্বীনদার, পরহেজগার, মুক্তাকি ও ঈমানদার হিসেবে কবুল করুন। আল্লাহ তাআলা শ্রেষ্ঠ ইবাদত নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। সবাইকে উত্তম রিজিক দান করুন। সর্বোপরি শোকর-গুজার বান্দা হিসেবে কবুল করুন। আমিন।