ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনের কেন্দ্রস্থলে শনিবার রাশিয়ার হামলায় অন্তত সাতজন নিহত এবং আরও ৫৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১৬ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কির কার্যালয়ের উপপ্রধান কিরিলো টিমোশেঙ্কো।
খেরসন অঞ্চলের প্রসিকিউটর অফিস তার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বলেছে, অন্তত আটজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
জরুরী পরিষেবাগুলো জানিয়েছে, শনিবার রুশ হামলায় পরে শহরের একটি আবাসিক এলাকায় কয়েকটি গাড়িতে আগুন লেগে যায়। ৪০ মিনিটের পরে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছিল কিন্তু মৃত ও আহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে, হামলার কিছুক্ষণ পরেই, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে "সন্ত্রাস" বলে নিন্দা করেন। তিনি বলেন, বড়দিনের প্রাক্কালে, শহরের কেন্দ্রীয় অংশের বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ করে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
জেলেনস্কি টেলিগ্রামে হামলার ছবি প্রকাশ করে এবং আক্রমণটিকে ‘ভীতি প্রদর্শন এবং আনন্দের জন্য হত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন অভিযানকে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে স্বীকার করার পর শুক্রবার পুতিনকে বাস্তবতা স্বীকার করে ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ কথা বলে গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং কর্তৃপক্ষ একটি অপরাধমূলক পরিভাষা ব্যবহার করে এমন একটি আইন অনুমোদন করে। তবে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন নিজেই ‘যুদ্ধ’ শব্দটি ব্যবহার করে বলেছেন, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি শেষ করার আশা করছেন।
মার্কিন পররাষ্ট দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি বিশ্ব জানত যে, পুতিনের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ ছিল বিনা উস্কানিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে একটি অযৌক্তিক যুদ্ধ। অবশেষে ৩০০ দিন পর পুতিন এটিকে যুদ্ধ বলে কী বুঝাতে চাইছেন।
মুখপাত্র বলেন, বাস্তবতা স্বীকার করার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে, আমরা তাকে ইউক্রেন থেকে তার বাহিনী প্রত্যাহার করে এই যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানাই।
সূত্র: আলজাজিরা, এএফপি