৪৯ বছর বয়সে তিন নম্বর বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা ক্রিকেট লেজেন্ড ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী। রেহাম খান নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃতীয় বিয়ের সুখবর দেন। মার্কিন মুলুক নিবাসী অভিনেতা-মডেল মির্জা বিলালের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করলেন রেহাম।
টুইটারে বিয়ের খবর জানিয়ে রেহাম লেখেন, ‘সিটাটেলে আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হল। আমাদের বিয়েতে মির্জা বিলালের বাবা-মা’র আর্শীবাদ ছিল আর আমার উকিল হিসাবে হাজির আমার ছেলে'।
২০১৫ সালে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘নিকাহ’ সেরেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক রেহাম। যদিও তাঁদের দাম্পত্যের বয়স ছিল মাত্র ১০ মাস। অল্প সময়েই ইমরানে মোহভঙ্গ হয় রেহামের। ইমরান ছিলেন রেহামের দ্বিতীয় স্বামী। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই নিজের তুতো দাদা ইজাজ রহমানকে বিয়ে করেছিলেন রেহাম। ইংল্যান্ডের নামী মনোবিদ ইজাজ রহমান। পরবর্তীতে সাংবাদিকতা শুরু করেন পাক বংশোদ্ভূত রেহাম। তিন সন্তান রয়েছে তাঁদের। ২০০৫ সালে ডিভোর্স হয় তাঁদের।
রেহামের তৃতীয় স্বামী মির্জা বিলাল বেগ মার্কিন মুলুকে বসবাস করেন। পেশায় কর্পোরেট জগতের মানুষ হলেও মডেলিং এবং অভিনয়ের সঙ্গেও যুক্ত মির্জা। এদিন ১৩ বছরের ছোট স্বামীর সঙ্গে ছবি শেয়ার করে রেহাম লেখেন-'অবশেষে এমন এক পুরুষ পেলাম যাঁকে বিশ্বাস করতে পারি'।
মির্জা বিলালের হাত ধরে ‘জাস্ট ম্যারেড’ লেখা ছবি শেয়ার করেছেন রেহাম। ছবিতে তাঁদের বিয়ের আংটি পরে থাকতে দেখা গেছে। তবে মুসলিম রীতি মেনে সোনার আংটি পরেননি মির্জা, জানিয়েছেন রেহাম।
মুসলিম রীতিতে বিয়ে করলেও সাদা গাউনে সেজেছিলেন রেহাম। ‘অন্তরের আত্মার সাথী’র সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করলেন রেহাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই চর্চায় থাকেন রেহাম। ৪৯ বছর বয়সেও তাঁর গ্ল্যামার যেন ফেটে পড়ছে।
ডিভোর্সের পরেও প্রাক্তন স্বামী ইরমানকে নিয়ে নানান বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন রেহাম। মাস কয়েক আগে যখন প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাতে বসেছিলেন ইমরান, তখন রেহাম বলেছিলেন- 'ইমরান খান বিভ্রমে ভোগেন। কারও পরামর্শ শোনা ওঁর ধাতে নেই। যদি সত্যিই সুপরামর্শ শুনতেন, তাহলে হয়তো আমি এখনও ওঁর স্ত্রী-ই থাকতাম। হয়তো, অন্যরাও ওঁকে ছেড়ে যেত না।
এছাড়াও কখনও ইরমান খানের যৌন জীবন তো কখনও রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলটপটা মন্তব্য করতে ছাড়েন না এই সুন্দরী।