সবজিতে স্বস্তি, সুখবর নেই চাল ও চিনিতে


অনলাইন ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 23-12-2022

সবজিতে স্বস্তি, সুখবর নেই চাল ও চিনিতে

সবজিতে স্বস্তি। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় হাতের নাগালে শীতকালীন সকল সবজির দাম। তবে এখনও স্বাভাবিক হয়নি খোলা চিনির বাজার। মাছের দামে স্থিতিশীল থাকলেও নতুন দামে মিলছে না ভোজ্যতেল। পাশাপাশি চাল ও চিনির দামে সুখবর নেই।

শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। ভোগ্যপণ্যের তালিকায় শীর্ষে থাকা চালের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল গুটি স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫২-৬০ টাকায়। পাইজাম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায়। বিআর-২৮ চালের প্রতি কেজি ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৭৮ টাকার মধ্যে। নাজিরশাইল চাল মানভেদে পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৭৪ থেকে ৮৫ টাকায়। বিভিন্ন কোম্পানি প্যাকেটজাত যেসব চাল বিক্রি করে, তা প্রতি কেজি ১০০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে। তবে কোম্পানির কারসাজিতে আতপ চালের দাম বাড়ছে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। বর্তমানে খোলা আতপ চালের দাম পড়ছে ১৪০-১৪৫ টাকা, প্যাকেটজাত এক কেজির দাম ১৬০ টাকা।

শীতের সবজিতে ঠাসা সবজি বাজারে কম দাম হওয়ায় বেশ হাঁকডাকেই বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বাজারে লাল টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা করে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। সবুজ সিম কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা। লাল সিম (পরিপক্ব) কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। এছাড়া বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে।

নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে, যা সপ্তাহখানেক আগেও ছিল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে। এছাড়া বরবটি কেজিপ্রতি ৪০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা ও গাজর ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০ টাকা পিস, নতুন পেঁয়াজ ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা।

সপ্তাহ ব্যবধানে ইলিশ ছাড়া প্রায় সব প্রজাতির মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। চাষের কই, তেলাপিয়া, পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া রুই, কাতলা কার্পজাতীয় চাষের মাছ ২৬০ থেকে২৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুব একটা হেরফের হয়নি দেশি জাতের মাছগুলোর দামে।

এদিকে বাজারে কমেনি মসুর ডাল ও আটা-ময়দার দাম। খুচরায় প্রতি কেজি মসুর ডাল এখনো ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আটা ৭০ টাকা ও ময়দা ৭৫ টাকা। টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসে খোলা আটার দাম ৬ শতাংশ ও প্যাকেটজাত আটার দাম ১৪ শতাংশ বেড়েছে। তবে আমদানিকৃত মোটা ডালের দাম কমেছে কেজিতে চার-পাঁচ টাকা। প্রতিকেজি মোটা ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯১-৯৫ টাকা করে।

গত রোববার থেকে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাঁচ টাকা কমে ১৮৭ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ পরও ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে আগের নির্ধারিত ১৯২ টাকা। কোম্পানিগুলো এখনো নতুন দরে তেল বাজারে ছাড়েনি। পাঁচ লিটারের বোতল এ মুহূর্তে পাওয়া যাচ্ছে ৯২৫ টাকায়।

এখনও স্বাভাবিক হয়নি খোলা চিনির বাজার। এক মাসের আগে চিনির দাম ১০৮ টাকা (প্যাকেট) নির্ধারণ করার পরও ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি।

এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়।

সব ধরনের মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। কমেছে সোনালি মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]