ক্লাসে ঢুকে আগে ওড়না খুলে ফেলতে হবে। তারপর ক্লাস শুরু হবে। ওড়না পরে কেউ ক্লাসে বসলে ভীষণ বকা দেওয়া হবে। এমনকি কথা না শুনলে লাঠির বাড়িও খেতে হতে পারে। এমনই ফরমান জারি করেছিলেন শিক্ষক। দিনের পর দিন ছাত্রীদের এমনভাবেই ওড়না খুলিয়ে ক্লাসে বসাচ্ছিলেন তিনি। ব্যাপার জানতে পেরে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষককে গ্রেফতারও করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আপগ্রেড মিডল স্কুলে ক্লাস ৭-৮ এর মেয়েদের এইভাবে দিনের পর দিন হেনস্থা করতেন শিক্ষক। স্কুলটি ডালটনগঞ্জের পান্ডু ব্লক এলাকায়। ছাত্রীরা জানিয়েছে, শিক্ষক রোগ ক্লাসে এসে তাদের ওড়না খুলে ফেলতে বলত। কেউ রাজি না হলে তাকে প্রচণ্ড বকাবকি করত। এমনকি লাঠি দিয়ে মারের ভয়ও দেখাত।
ওই শিক্ষক নাকি ফরমান জারি করেছিল, রোজ ক্লাসে ঢুকে ওড়না খুলে বসতে হবে। তাহলে তিনি পড়ানো শুরু করবেন। ওড়না না খুললে মারধর করা হবে বলে শাসানিও দিয়েছিলেন তিনি। বাড়িতে কিছু বলতেও মানা করা হয়েছিল ছাত্রীদের।
চারজন ছাত্রী এই কথা প্রথম অভিভাবকদের জানান। সেখান থেকেই জানতে পারেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপরে পুলিশের কাছে ওই শিক্ষকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ডেপুটি কমিশনার অঞ্জনেয়েলু ডোডে, সিনিয়ার অফিসার মনোজ কুমার ও সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ কুমার স্কুলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তারপর গ্রেফতার করা হয় শিক্ষককে। পকসো আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে।