ওমিক্রনের যা যা উপসর্গ আগে দেখা গিয়েছিল, সেসব আছেই, নতুন করে আরও কয়েকটির সংযোজন হয়েছে। ওমিক্রনেরপাঁচটি ভ্যারিয়ান্ট থেকে আলাদা বিএফ.৭ নিয়ে এখনও অনেক তথ্যই অজানা। ভাইরোলজিস্টদের অনুমান, ওমিক্রনেরই কোনও প্রজাতির মিউটেশন বা জিনের রাসায়নিক বদল হয়ে নতুন উপপ্রজাতি (Sub-Variant) বিএফ.৭ এর জন্ম হয়েছে। চিনে লাখ লাখ আক্রান্ত, ভারতেও চার জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের স্ট্রেন।
আগে জ্বর, কাশি বা স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলিকে কোভিডের প্রাথমিক উপসর্গ ভাবা হত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই নতুন রূপে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে না এই ধরনের সমস্যা। বরং মাথা ধরা, নাক থেকে জল পড়া, হাঁচি বা ক্লান্ত লাগার মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে অনেক বেশি। উপসর্গহীনরা আরও মারাত্মক। কোনও লক্ষণই বাইরে থেকে বোঝা যায় না।
ওমিক্রন বিএফ.৭ কী? ভয়ানক এই প্রজাতির কারণে চিনে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালীন ঠান্ডা লাগা ভেবে ওমিক্রনের উপসর্গ এড়িয়ে গেলে চলবে না। এই সময় অনেক বেশি সাবধান থাকতে হবে।
কী কী উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন?
১) গলা চুলকানো বা গলা জ্বালা ভাব।
২) মাথা ব্যথা।
৩) ঘন ঘন নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।উপরের কোনও একটি বা দুটি বা ততোধিক উপসর্গ দেখা দিলে এক মুহূর্ত দেরি না করে অতি অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
তাছাড়া আরও কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যেমন–বমি ভাব ও খিদে কমে যাওয়া।
গায়ে, হাত-পায়ে চুলকানি, ঘা হতেও দেখা যাচ্ছে।
চিনে বেশিরভাগ রোগীই শ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন, বিকল হচ্ছে ফুসফুস।
সর্দি, কাশি, জ্বর, গলা ভেঙে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও আসছে অনেকের।
মাথাব্যথা, ঝিমুনি, মাথা ভার হয়ে থাকার মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
বুকে ব্যথাও হতে দেখা গেছে অনেকের।
এবার গন্ধ চলে যাওয়ার অনুভূতি কম জনেরই হচ্ছে।