তালেবান ঘোষণা দিয়েছে, আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন থেকে আর কোনো নারী শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন না। সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর একটি চিঠির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। বিবিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকা তালেবান শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে একটি চিঠি ইস্যু করেছে।
দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠিতে জানিয়েছে, তাদের এ সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক কার্যকর করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন না।
আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর প্রথমেই নারীদের হাই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় তালেবান। এবার তারা নারীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বন্ধ করে দিল।
তিন মাস আগে আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। ওই সময় নারীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অথচ এখন জানিয়ে দেওয়া হলো- নারীরা উদ্ভিদবিদ্যা, প্রকৌশল, অর্থনীতি এবং কৃষি বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবেন না। কোনো নারী সাংবাদিকতা পড়ার সুযোগ পাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করে তালেবান। এ ছাড়া নিয়ম জারি করা হয় যে নারী শিক্ষার্থীদের শুধু নারী ও বৃদ্ধ শিক্ষকরা পড়াতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ও শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, নারী ও তাদের শক্তিকে ভয় পায় তালেবান। ভবিষ্যতের সঙ্গে আমার সংযোগ তৈরিকারী একমাত্র সেতুটি তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাব? আমার বিশ্বাস ছিল আমি পড়ালেখা করে ভবিষ্যৎ পরিবর্তন বা জীবনে আলো আনতে পারব। কিন্তু তারা সব শেষ করে দিল।
সূত্র : বিবিসি