নাটোরের সিংড়ায় গভীর রাতে দুই কৃষকের বাড়ি থেকে তিনটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটায় উপজেলার ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়নের আয়েশ গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন এবং আবুল হোসেনের গোয়াল ঘর থেকে চুরির এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কৃষক ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানাযায়, সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটায় চোর চক্রের একটি সংঘবদ্ধ দল আয়েশ পশ্চিমপাড়ার কৃষক আবুল হোসেনের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে একটি গাভী ও একটি ষাড় গরু সহ পাশের বাড়ির কৃষক জাকির হোসেনের গোয়াল ঘর ভেঙ্গে আরও একটি গাভী গরু চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি হওয়া দুই কৃষকের এই তিনটি গরুর আনুমানিক মুল্য সাড়ে তিন লাখ টাকা।
ভুক্তভোগী কৃষক জাকির হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ সামেজান বলেন, কিছু মানুষেের গুনজন শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে ঘরের বাহিরে বের হয়ে দেখি গোয়াল ঘরে গরু নাই। পরে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা চোর চক্রের সন্ধানে বের হয়। আজ থেকে ২২ দিন আগে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি কেনা হয়েছিল। আমরা দরিদ্র মানুষ। অনেক কষ্টে লালন পালনের আশায় গরুটি কিনেছিলাম।
ভুক্তভোগী আবুল হোসেন বলেন, গ্রামের পাশে সিংড়া-বারুহাস রাস্তার সংলগ্ন আমার হাঁস খামারে শুয়ে ছিলাম। গভীর রাতে একটি মিনি ট্রাক আর একটি মটরসাইকেল দেখতে পাই। কিছু বুঝে উঠার আগেই পাড়ার লোকজনের চিৎকারে বাড়ি গিয়ে দেখি আমার গোয়াল ঘরের গরু চুরি হয়ে গেছে।
প্রতিবেশী মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনার পর পরই একটি টেম্পু নিয়ে আমরা সিংড়া রাস্তা ধরে চোর চক্রের সন্ধানে ছুটে যাই । তিশিখালীর রাস্তায় গিয়ে রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটায় দেখি একটি বালুর ট্রাক বালু নামাচ্ছে। পরে ওই গাড়ীর ড্রাইভার জানায়, কিছুক্ষণ আগে একটি মিনি ট্রাক এবং তার আগে একটি মটরসাইকেল সিংড়া পয়েন্টের দিকে যেতে দেখেছেন।
সিংড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়টি থানায় অবগত হওয়ার পরপরই আমাদের টহলরত পুলিশ ওই রাতেই সিংড়া পয়েন্টে অবস্থান নেয়। পরের দিন সকালে এঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের অনুসন্ধানী তদন্ত চলমান আছে। সব মিলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।