বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন। স্বপ্নের পিছু ধাওয়া করে পঞ্জাব থেকে এত পথ এসে পড়েছেন শেহনাজ গিল। গানে যেমন মুগ্ধ করেছেন ‘পঞ্জাবের ক্যাটরিনা’, তেমনই অভিনয়েও পা রাখবেন শীঘ্রই। এত কিছু নেহাত সহজ ছিল না ২৮ বছর বয়সের মধ্যে। তবু করে দেখিয়েছেন তিনি। কী ভাবে? সেই গল্পই শোনাবেন ‘ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৩’-র বিশেষ পর্বে।
প্রবীণ নাগরিকদের নিয়ে আয়োজন করা হবে এই অনুষ্ঠানের। সেখানেই উপস্থিত থাকবেন শেহনাজ। ঝলকে দেখা যায় অভিনেত্রী বলছেন নারীদের লড়াইয়ের কথা, যা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একই ছবি।
শেহনাজ বলছেন, “খুব কম পরিবার কর্মরত মেয়েদের মেনে নেয়। আমি আমার স্বপ্নপূরণ করতে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলাম। যে সব মেয়েরা বাড়ির সমর্থন নিয়ে রোজগার করতে পারে, তারা ভাগ্যবান।”
মাকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাবেন ভাবতেই পারতেন না আগে। কিন্তু এই সদ্য দুবাই ঘুরে এসেছেন। শেহনাজ বললেন, “পরাবাস্তব মনে হচ্ছিল। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না এমনটা যে সম্ভব করতে পেরেছি। বাবা-মায়ের জন্য কিছু করতে পারলে
সম্প্রতি অনেক জনপ্রিয় গানের কভার করেছেন শেহনাজ। ‘ঘানি সায়নী’ গানের ভিডিয়োতে তাঁর উপস্থিতি বিশেষ নজর কেড়েছে। গান এবং অভিনয় দু’দিকেই তরতরিয়ে এগোচ্ছেন তিনি।
‘বিগ বস ১৩’-র দৌলতে প্রথম বার দর্শকের সঙ্গে পরিচয় হয় পঞ্জাবের উঠতি অভিনেত্রী শেহনাজ কৌর গিলের। রিয়্যালিটি শো শেষ হওয়ার পর যেন রাতারাতি বদলে গিয়েছিল শেহনাজের জীবন। সবচেয়ে বড় বদল ছিল শেহনাজের কাছের মানুষ অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লর প্রয়াণ। তবে ব্যক্তিগত ঝড়ঝাপটা সামলে নতুন রূপে দর্শকের সামনে এসেছেন শেহনাজ। দর্শকও তাঁর প্রতি ভালবাসা দেখাতে এক ফোঁটাও কার্পণ্য করেননি।
খুব শীঘ্রই শেহনাজের অভিষেক হতে চলেছে বলিউডে। তা-ও আবার সলমন খানের ‘কিসি কি ভাই, কিসি কি জান’ ছবিতে।