কোভিড সংক্রমণের চাপে চীনের হাসপাতালগুলো


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 15-12-2022

কোভিড সংক্রমণের চাপে চীনের হাসপাতালগুলো

অল্প সময়ের মধ্যে কোভিড মোকাবেলা করার জন্য নীতির ১৮০ ডিগ্রী পরিবর্তনের পরে চীনের হাসপাতালগুলো প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড নীতিতে তাড়াহুড়ো করে পরিবর্তনের কারণে এখন চিকিৎসক ও নার্সদের মাধ্যমে রোগীরা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সারা দেশে হাসপাতালগুলো এমনকি কর্মীদের স্বল্পতার কারণে ভাইরাসে সংক্রামিত ফ্রন্টলাইন মেডিকেল কর্মীদের ডাকছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য নীতির বিশেষজ্ঞ চীনা অধ্যাপক চেন শি শুরু থেকেই তার দেশে কোভিড সংকট পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি জানান, দেশটির হাসপাতালের পরিচালক ও অন্যান্য চিকিত্সা কর্মীদের সঙ্গে চীনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখন যে বিশাল চাপের মধ্যে রয়েছে সে সম্পর্কে কথা বলেছেন তিনি। আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও হাসপাতালে কাজ করতে হয়, যা সেখানে সংক্রমণের পরিবেশ তৈরি করে।

'জিরো কোভিড' নীতি চালু হওয়ার পরে, চীনের হাসপাতালগুলো রোগীর চাপ সামলাতে তাদের জ্বরের ওয়ার্ড বাড়ানোর চেষ্টা করে কিন্তু তারা দ্রুত পূর্ণ হয়ে যায়। এর একটি কারণ হলো, ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তারা ঘরে থাকতে পারবেন, এমন বার্তা চীনের নাগরিকরা আমলে নেননি। অধ্যাপক চেন মনে করেন, জনসাধারণকে শিক্ষিত করার জন্য আরও কিছু করা দরকার। 

সামান্য উপসর্গ থাকলেও ঘরে থাকার কোন সংস্কৃতি নেই চীনে। অসুস্থ বোধ করলে প্রত্যেকেই হাসপাতালে ছুটে যায়, যা সহজেই চীনের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে অভিভূত করতে পারে বলে জানান চেন শি।

ফার্মেসিগুলোতে ভিড় বেশি হয়ে যাওয়ায় দেশব্যাপী ঠান্ডা ও ফ্লুর ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে। ঘরে বসেই কোভিড-১৯ সনাক্তকরণের জন্য কিটগুলোও সহজলভ্য নয়। 

বেইজিংয়ে রেস্তোরাঁগুলো আবার খুলে গেলেও ক্রেতার সংখ্যা কম। এমনকি রাজধানীর সড়কগুলোও অনেকটা নীরব। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের অফিসে ফিরে যেতে বলছে। কিন্তু অনেক শ্রমিক তা করতে রাজি নন।

এমনকি কয়েক সপ্তাহ আগে যখন চীনের সরকার ঘোষণা করছিল, 'জিরো কোভিড' নীতিতে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না, তখন রাস্তা, রেস্তোরা ও অফিসগুলোতে একটি স্বাভাবিক দৃশ্য ছিল। 

কারণ তখন লকডাউনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের কেন্দ্রীয় কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাপনায় যেতে হয়েছিল। তবে এখন আগের মতো পরিস্থিতি নেই। প্রতিবাদ ও অসন্তোষের মুখে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে না রেখে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পথে হেঁটেছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]