‘টেকব্যাক বাংলাদেশ’ বলতে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ চেয়েছি: মোশাররফ


অনলাইন ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 14-12-2022

‘টেকব্যাক বাংলাদেশ’ বলতে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ চেয়েছি: মোশাররফ

‘টেকব্যাক বাংলাদেশ’ বলতে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্রের বাংলাদেশে ফিরে যেতে চেয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ‘টেকব্যাক বাংলাদেশ’ মানে এটা বোঝাতে চেয়েছি যে এই বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন, সেই বাংলাদেশ আমরা ফিরে পেতে চাই। মুক্তিযুদ্ধে মূল চেতনা গণতন্ত্র কিন্তু আজকে দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। আমরা সেই গণতান্ত্রিক দেশ ফিরে পেতে চাই।

মোশাররফ হোসেন বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যদি বলে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল পাকিস্তানের পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে চায় তাহলে এটা আমার মনে হয় এ দেশের মানুষ কেউ বিশ্বাস করবে না। এই সরকার যেভাবে বিভিন্নভাবে চাপাবাজি করছে তেমনিভাবে এটাও একটা চাপাবাজির অংশ। তারা ইতিহাসকেও বিকৃত করছে এটাও সেটার একটা অংশ।

মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য যতটুকু কম রাখা সম্ভব সেই চেষ্টা করা উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে সারাবিশ্বের মধ্যে আমাদের এখানে অর্থনৈতিক বৈষম্য সবচেয়ে বেশি। আজকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ নাজেহাল।

বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিদ্যুৎ খাতে যে পরিমাণ লুটতরাজ হচ্ছে, গত ১০-১২ বছর ধরে এই বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে এটাই তো বাংলাদেশ টেকব্যাকের হিসাব। এটা নজিরবিহীন, এই বাংলাদেশ আমরা চায়নি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকাল থেকেই রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা থেকে লোকজন রায়েরবাজারে আসতে শুরু করেন। তারা সারিবদ্ধভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর রায়েরবাজারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

এর আগে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তারা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময়ে বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]