শীত অনেকের পছন্দের ঋতু হলেও অনেকের জন্যই ভয়াবহ হয় এই সময়। কারণ এই সময়ে তাপমাত্রার নিম্নগামী পারদ বহু রোগজীবাণুর জন্য হয়ে ওঠে স্বর্গরাজ্য। পাশাপাশি বাতাসে দূষণ বাড়ায় দেখা দেয় অ্যালার্জির সমস্যা। এই সব কারণে মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাড়ে সংক্রমণের আশঙ্কা। আর এই সময়টাতেই বহু মানুষ আক্রান্ত হন টনসিলের সমস্যায়।
টলনিসের সমস্যায় আক্রান্ত প্রতিটি মানুষই জানেন, এই সমস্যা ঠিক কতটা সর্বনাশা! এক্ষেত্রে গলাব্যথা, গলা চুলকানো, কথা বলার সমস্যা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময় অনেকে টনসিলের ব্যথায় খাবার পর্যন্ত খেতে পারেন না।
এই সমস্যার কিছু ঘরোয়া চিকিত্সা রয়েছে, যা সহজেই সমস্যার সমাধান করে। চলুন জেনে আসা যাক..
>মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। অর্থাত্ ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যা দূর করতে পারে এই মধু। এছাড়া মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই সকল বিষয়গুলি মিলিয়ে মধু টনসিলের চিকিত্সাতেও দারুণ কাজে লাগতে পারে।
> লবণ যে কোন সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে। তাই টনসিলের সমস্যা হলেও লবণ হতে পারে আপনার হাতিয়ার। এক্ষেত্রে একগ্লাস কুসুম গরম জলে এক চিমটি লবন ফেলুন। তারপর সেই জল দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট গার্গিল করুন। দেখবেন, ফল মিলেছে হাতেনাতে।
>পুদিনাপাতার মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই গুণের কারণে গলাব্যথা নিবারণেও আপনার হাতিয়ার হতে পারে পুদিনাপাতা। তাই এককাপ জলে কয়েকটি পুদিনাপাতা ফেলে ফুটিয়ে নিন। তারপর এই জল পান করুন।
>হলুদের মধ্যে যে কোনও ধরনের প্রদাহ দূর করার ক্ষমতা রয়েছে। তাই আপনি অবশ্যই টনসিলের সমস্যা দূর করতে হলুদ খেতে পারেন। তবে কাঁচা হলুদ খাওয়ার তুলনায় গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। সমস্যা কমবে দ্রুত।
তবে মনে রাখবেন, গলাব্যথা শুধু টনসিলের জন্যই নয়, অন্য নানা ধরনের সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। আর সবথেকে বড় কথা গলাব্যথার পিছনে থাকতে পারে করোনা ভিইরাস। তাই সাবধান থাকুন, কয়েকদিন ধরে গলাব্যথা থাকলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
রাজশাহীর সময় /এএইচ