এই সময়ে প্রোটিনের অন্যতম উৎস হিসেবে ডালকে বেছে নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মসুর ডাল যেমন প্রোটিনে ভরপুর, খেতেও কিন্তু সুস্বাদু। এসবের বাইরে এর আরেকটি গুণ হলো এটি আপনার রূপচর্চায় দারুণ উপকারী। এই সময়ে বাড়িতে রূপচর্চার উপাদান ফুরিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। এমন হলে আস্থা রাখতে পারেন মসুর ডালে-
প্রতিটি ফেস প্যাক বানানোর জন্য খানিকটা মুসুর ডাল ভালো করে ধুয়ে আগের রাতে ভিজিয়ে রাখুন, সকালে মিক্সিতে বা শিলপাটায় বেটে নিন।
সপ্তাহে একদিন ত্বক এক্সফোলিয়েট করলে মুখের উপরিভাগে জমে যাওয়া মৃত কোষ উঠে গিয়ে উজ্জ্বল কোমল ত্বক বেরিয়ে আসে। মিহি করে বাটা মুসুর ডালের সঙ্গে দু’ চাচামচ দুধ মিশিয়ে থকথকে করে মুখে সমানভাবে লাগিয়ে নিন, তারপর ঘষে ঘষে মাসাজ করুন। মিনিট দুই ঘষার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। দুধ আপনার ত্বক কোমল আর নরম রাখবে।
তিন টেবিলচামচ মুসুর ডাল বাটা, তিন টেবিল চামচ টক দই আর একই পরিমাণ বেসন একসঙ্গে বেশ করে মিশিয়ে নিন, এই মিশ্রণে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া দিয়ে আবার ফেটিয়ে নিতে হবে। এবার মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না শুকোয়। তারপর জল দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কালচেভাব দূর হবে।
ত্বক খুব শুকনো লাগছে? দু’ টেবিল চামচ মুসুর ডালের সঙ্গে দু’ টেবিলচা মচ মধু মিশিয়ে মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন। মধু ত্বকে আর্দ্রতা জোগাবে আর মুসুর ডাল ত্বক করে তুলবে কোমল আর উজ্জ্বল।
ঠোঁটের উপরে বা গালে রোমের আধিক্য রয়েছে? মুসুর ডালের নিয়মিত ব্যবহারে তা কমিয়ে ফেলতে পারেন অনায়াসে। এক চা চামচ মুসুর ডাল বাটার সঙ্গে এক চাচামচ বেসন, এক চা চামচ চালের গুঁড়া আর কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে মাখুন। শুকিয়ে এলে রগড়ে রগড়ে তুলে ফেলুন। কিছুদিন করলেই রোমের গ্রোথ কমতে শুরু করবে।
মুসুর ডাল বাটার সঙ্গে খানিকটা অ্যালো ভেরাজেল মিশিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন, আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে ধীরে ধীরে মুখের দাগ ফিকে হয়ে আসবে।