আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনার সংক্রমণ এড়াতে বহু দেশই ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলেছে, এভাবে করোনাকে ঠেকানো সম্ভব নয়। খবর ডয়চে ভেলের।
করোনার বিভিন্ন ঢেউয়ে বিশ্বের একাধিক দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ওমিক্রন আসার পর গত নভেম্বর থেকে আফ্রিকার একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বহু দেশ।
বুধবার জাতিসংঘে এ বিষয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। দীর্ঘ বৈঠকের পর তারা যে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে করোনাকে আটকানো সম্ভব নয়। ফলে কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়।
বস্তুত, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী হাসপাতালগুলো ধুঁকছে। বহু বিমান সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করেছে। কোনো কোনো বিমান সংস্থা বন্ধ হওয়ার মুখে। শুধু তাই নয়, বিমান চলাচল বন্ধ থাকার জন্য দেশগুলোও আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছে হু। তাদের বক্তব্য, ভ্রমণের ক্ষেত্রে দুটি ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট দেখানো বাধ্যতামূলক করা উচিত নয়। কারণ, পৃথিবীর সর্বত্র সমানভাবে ভ্যাকসিন দেয়া যায়নি।
বিশেষ করে, আফ্রিকার দেশগুলোতে ভ্যাকসিন ঠিক সময়ে পৌঁছায়নি। এ পরিস্থিতিতে সবার কাছে দুটি ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট চাওয়া অন্যায়। বরং বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
হু-এর পরামর্শ, দুইটি ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট না থাকলে সেই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে পাঠানো হোক। নেগেটিভ রিপোর্ট দেখতে চাওয়া হোক। ১৪ দিন আইসোলেশনের খরচ তার কাছ থেকে নেয়া হোক। কিন্তু তাকে কোনো দেশে ঢুকতেই দেয়া হবে না, এ নিয়ম ঠিক নয়।
সামগ্রিকভাবে পুরো বিশ্বে করোনার সংক্রমণ গত এক সপ্তাহে ২০ শতাংশ বেড়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে হু। তবে মৃত্যুর হার একই আছে। সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও বেশি। সবচেয়ে আশ্চর্যেও বিষয়, গত এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ চোখে পড়ার মতো কমেছে আফ্রিকায়।