রিয়া সেন মানেই শরীরী উত্তেজনা। লাস্যময়ীর উষ্ণ আবেদন দেখতে সারাক্ষণই উপচে পড়ছে ভিড়। শরীরী আবেদনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যানবেস ধরে রেখেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের নাতনি রিয়া সেন। অভিনয়ে দিদার মতোন জনপ্রিয়তা না পেলেও পোশাকের ব্যাপারে বরাবরই সাহসী মুনমুন কন্যা রিয়া। ৪০-এর কোটায় পৌঁছে সেক্সি তকমা ধরে রেখেছেন রিয়া। তবে কেন হঠাৎ বলিউড থেকে দূর চলে গেলেন রিয়া, কেনই বা যৌন আবেদনে নিজেকে দেখে লজ্জা পান নায়িকা, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খোলসা করলেন মহানায়িকার নাতনি রিয়া সেন।
মুনমুন সেনের ছোট কন্যা সর্বদাই লাইমলাইটে থাকতে ভালবাসেন। হট ফোটোশ্যুট, বোল্ড ছবি শেয়ার করে ভক্তদের রাতের ঘুম কাড়তে সিদ্ধহস্ত মুনমুন কন্যা রিয়া সেন। সাক্ষাৎকারে রিয়া জানিয়েছেন, অভিনয় জগতে আসার অনেকদিন আগে থেকেই তার গায়ে লেগেছে সেক্সিয়েস্টের তকমা। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই স্কুলে পড়ার সময় সেক্সি কথাটা শোনেন, সেই থেকেই শুরু। স্কুলজীবন থেকেই যৌনতার এই তকমা বহন করে চলেছেন রিয়া। আর এখন ৪০-এর কোটায় পৌঁছে এই কথা শুনতে শুনতে তিনি হাাঁপিয়ে গেছেন।
অভিনয় জগতে পা রাখার পরও একই ঘটনা। এত ছোট বয়সে অভিনয়ে এসে অতটা বুঝতেন না, যা বলা হত তাই করতেন রিয়া। আর তাতেই যৌন আবেদনময়ীর তকমা লাগে রিয়ার গায়ে। আক্ষেপের সুরে রিয়া জানান, আজ তিনি উপলব্ধি করেন কেন এত ছবির মধ্যে দর্শকরা হাতে গোনা কয়েকটি ছবি দেখতে পছন্দ করেন। আসল যৌন আবেদনময়ীর এক জিনিস দেখেই বিরক্ত হয়ে উঠেছিল দর্শক। রিয়া আরও বলেন, বর্তমানে বলিউডের গ্ল্যামারের ঝলকানি, অভিনয় থেকে অনেক দূরে থেকে যখন নিজের ছবি দেখেন, তখন লজ্জায় নিজেই কুঁকড়ে যান রিয়া। রিয়ার দাবি, সবাই পর্দার আর বাস্তবের রিয়াকে একই মনে করতে শুরু করেন। রিয়া মানেই যৌনতা। কিন্তু তিনি আদতে সেটা নন, এটা বোঝাতে গিয়ে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ততদিনে দর্শকদের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই ধীরে ধীরে নিজেকে বলিউড থেকে গুটিয়ে নেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ অ্যাক্টিভ মুনমুন কন্যা। মাঝেমধ্যেই সাহসী পোশাকের জন্য লাইমলাইটের শিরোনামে চলে আসেন তিনি। ১৯৯১ সালে শিশু শিল্পী দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। তারপর বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, তেলেগু, মালালায়ম, এমনকী ইংরেজী সিনেমাতেও দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। অভিনয় দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রিয়া। সেই অভিনয় নিয়ে দর্শকমনে ছাপ না রাখতে পারলেও ফটোশ্যুটে নজর কেড়েছেন নেটিজেনদের ।