ধর্ষণ শুধুমাত্র ভারত বা তৃতীয় বিশ্বের সমস্যা নয়। তা মহামারীর মতো গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকেই। এই পরিস্থিতেই ধর্ষণের নতুন সংজ্ঞা খুঁজছে সুইজারল্যান্ড। আর তা নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। সোমবার ধর্ষণের নতুন সংজ্ঞা খুঁজতে ভোটাভুটি হয় আল্পস পর্বতমালার বুকে অবস্থিত দেশটির পার্লামেন্টে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি-র মতে, সুইজারল্যান্ডে ধর্ষণ মানে হচ্ছে, 'ফোর্সড ভ্যাজিনাল পেনিট্রেশন, মেট উইথ সার্টেন লেভেল অফ রেসিস্ট্যান্স বাই দ্য উইমেন।' বাংলা অনুবাদে যা দাঁড়ায়, কোনও মহিলার উপর বলপ্রয়োগ করে যোনিপ্রবেশ করা হলে তা ধর্ষণ বলে গণ্য করা হবে। সঙ্গে নির্যাতিতা আদৌ বাধা দেওয়ার কোনও চেষ্টা করেছিলেন কি না তা-ও বিচার্য হয়। তবে সময়ের সঙ্গে এই সংজ্ঞা বদলের জোরালো দাবি উঠেছে ইউরোপের শান্তিপূর্ণ দেশটিতে। অনেকেই বলছেন, অসম্মতিতে হওয়া যে কোনও ধরনের যোনিপ্রবেশকেই ধর্ষণের পর্যায়ে ফেলতে হবে। এবং নতুন আইন কোনওভাবেই লিঙ্গকেন্দ্রিক হবে না। অর্থাত্ ধর্ষণের দায়ে কেবল পুরুষ নয়, মহিলাদেরও কাঠগড়ায় তোলা হবে।
আইনের মাপকাঠিতে কোন যৌন অপরাধকে কখন ধর্ষণ আখ্যা দেওয়া হবে? এই প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে সোমবার ভোটগ্রহণ হয় সুইস পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে। যেখানে 'নো মিনস নো'-র পাশাপাশি ভোটদাতাদের কাছে অন্যতম বিকল্প ছিল- 'ওনলি ইয়েস মিনস ইয়েস'। সব সম্মতিহীন যৌন সম্পর্ককেই ধর্ষণ আখ্যা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে রাখা হয়েছিল এই ভোটাভুটি পর্ব। যার পক্ষে ভোট পড়ল ৯৯টি। বিপক্ষে ৮৮। আর ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন তিনজন।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের 'ওনলি ইয়েস মিনস ইয়েস' সংজ্ঞা ইউরোপের একাধিক দেশ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে-স্পেন, ডেনমার্ক, সুইডেন ও বেলজিয়াম। এবাক একই পথে হাঁটতে চলেছে সুইজারল্যান্ডও। তবে পার্লামেন্টের নিস্নকক্ষে ভোটাভুটি হলেও এখনই নতুন আইন আসতে সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।