হজরত মুয়াজ বিন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার আমাদের বলেন, যার সর্বশেষ বাক্য হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। মরণকাল কালেমা সৌভাগ্য হওয়ার আরও যেসব আমলের কথা বলেছেন, তার মধ্যে একটি হলো মিসওয়াক করা।
ফাতাওয়ায়ে শামিতে এসেছে, ‘মিসওয়াকের সত্তরেরও বেশি উপকারিতা রয়েছে । তন্মধ্যে সবচেয়ে ছোট উপকার হচ্ছে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় আর সর্বোচ্চ উপকার হচ্ছে, মিসওয়াক করলে মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়।’
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিসওয়াকের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। মৃত্যুর সময়ও তিনি এই আমল ছাড়েননি। একেবারে অন্তিম সময়ে যখন তিনি মিসওয়াক করতে পারছিলেন না তখন হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা নিজ থেকে মিসওয়াক চিবিয়ে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখে তুলে দিচ্ছিলেন। আর তিনি তা দিয়ে মিসওয়াক করেছিলেন।
মিসওয়াক করা আল্লাহর রাসুলের অত্যন্ত পছন্দনীয় কাজ। উম্মতের জন্য তিনি এই আমলটি আবশ্যকীয় করতে চেয়েছিলেন হাদিসে পাকে এসেছে, ‘যদি আমি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তবে অবশ্যই প্রত্যেক নামাজের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।’-(মিশকাত ৩৪৬)
তিনি আরও বলেছেন, ‘যখনই জিববিল আলাইহি সালাম (ওহি নিয়ে) আমার কাছে আসতেন, তখনই আমাকে মিসওয়াকের নির্দেশ দিতেন। এতে আমি আশঙ্কাবোধ করলাম যে (মিসওয়াক করে) আমি আমার মুখের সম্মুখ দিক ক্ষয় করে দেব।- (মুসনাদ আহমদ ২২২৬৯)
মিসওয়াক করা নবিদের সুন্নাত। হাদিসে এসেছে নবি-রাসুলদের সুন্নত হলো চারটি। ১. লজ্জা করা, অন্য বর্ণনায় খতনা করা, ২. সুগন্ধি ব্যবহার করা, ৩. মিসওয়াক করা, ৪. বিয়ে করা, (তিরমিজি ৩৫১)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, সুন্নতের অনুসরণে সব সময় মিসওয়াক করা। মিসওয়াকের সব উপকারিতা অর্জন করা। বিশেষ করে মৃত্যুর সময় কালেমা নসিবের সৌভাগ্য অর্জন করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।