অবশেষে মারা গেলেন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের (শজিমেক) শেষ বর্ষের ছাত্র মেহেরাজ হোসেন ফাহিম। ঝালমুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
ঘটনার ১০ দিন পর রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শজিমেকের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে মেহেরাজ হোসেন ফাহিম বন্ধুদের সাথে শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই গেটে ফরিদ ব্যাপারী ও তার ছেলে শাকিল ব্যাপারী ঝালমুড়ির ব্যবসা করতেন।
সেখানে ঝালমুড়ি খাওয়া নিয়ে ফরিদ ব্যাপারীর সাথে বাকবিতণ্ডাতায় জড়িয়ে পড়েন ফাহিম। ওই সময় ক্ষিপ্ত হয়ে ফরিদের ছেলে শাকিল তার হাতে থাকা পেঁয়াজ কাটার চাকু দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
ছাত্রলীগের শজিমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, ঘটনার তৃতীয় দিনে ফাহিমকে আমরা অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার এভারকেয়ারে নিয়ে যাই। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সে মারা যায়।
তিনি বলেন, ওখানকার চিকিৎসকদের কাছে থেকে আমরা জানতে পেরেছি, ছুরিকাঘাতের পর ফাহিমের শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে। সেটি আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় ২৩ নভেম্বর রাতেই পুলিশ ফরিদ ব্যাপারী ও তার ছেলে শাকিল ব্যাপারীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের দুজনকে আসামি করে পরের দিন সকালে ফাহিমের বাবা নুর মোহাম্মদ মামলা দায়ের করেন।