শীতকালে মানে এমনিতেই বাতাসে রুক্ষতা এবং শুষ্কতা। এর প্রভাবে চামড়া থেকে অভ্যন্তরীণ শারীরিক অবস্থার অবনতি সবকিছুই দেখা যায়। কিন্তু এবছর আবহাওয়ার কারণে শীতের সঙ্গেই ঘনঘন বৃষ্টি এবং বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ঠিক যেন শীত পেরিয়ে বসন্তের মত পরিবেশ। ঠান্ডার মাত্রা কমেছে সঙ্গেই বাতাসে রুক্ষতা যেন আরও বেড়ে গেছে।
অনেকেই জানেন যখন আবহাওয়া পরিবর্তন হয়, তখন কিন্তু প্রচুর মানুষ নতুন করে রোগে পড়েন, তাই এইসময় সাবধান থাকাই প্রয়োজন।
সাধারণত ধুলোকনা কিংবা কুয়াশা অথবা বাতাসের ভাইরাল ড্রপলেট যে ধরনের ক্ষতি করতে পারে সেগুলি। যেমন, লাংস ইনফেকশন, শ্বাসকষ্ট, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিব পালমোনারি ডিজিস এছাড়াও শ্বাসযন্ত্রের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে এই আবহাওয়ায়। এবং এর থেকেই বড় ধরনের সমস্যা আরও বেশিমাত্রায় শরীরকে ক্ষতি করতে পারে।
কীভাবে নিজেকে এর থেকে সুস্থ রাখবেন?
যতটা পারা সম্ভব একদম দুপুরের সময় অর্থাত্ হিউমিড বেশি থাকা কালীন এবং সন্ধ্যার দিকে বাইরে না বেরনো ভাল। এবং যদি বেরতেই হয় তবে অবশ্যই এন ৯৫ মাস্ক ছাড়া একেবারেই না। কাপড়ের মাস্ক হলে তার আগে একটি সার্জিক্যাল মাস্ক অবশ্যই পড়ুন।
বাইরে বেড়িয়ে শরীরচর্চা করা কিংবা ব্যায়াম করা অথবা দৌড়ানো এইসময় উচিত নয়। অনেকেই আছেন যারা ভোর বেলা হাঁটাচলা কিংবা দৌড়াতে পছন্দ করেন, যদি অতিরিক্ত কুয়াশা কিংবা ধুলোকণা অনুভব করেন একেবারেই বাইরে যাবেন না। এর থেকে স্কিন অ্যালার্জির মত সমস্যাও হতে পারে।
বাড়িতে যদি সম্ভব হয় একটি এ্যার পিউরিফায়ার অবশ্যই রাখুন। যদি সময় থাকে তাহলে অবশ্যই ফিল্টারগুলি রোজ বদলাবেন। এতে বাড়ি এবং শরীর দুইয়ের পক্ষে ভাল।
বাড়িতে বেশ কিছু গাছ লাগান, তার মধ্যে অ্যালোভেরা, লিলি কিংবা সামনে গরম আসছে এই ভেবে পলাশ কিংবা রঙ্গন ফুলের গাছ অথবা মাধবীলতা লাগাতে পারেন। এগুলি বায়ুদূষণ রোধ করতে সাহায্য করে।।
বাড়ি বসে ধূমপান একেবারেই বন্ধ করুন, এটি শরীর এবং প্রকৃতি দুইয়ের পক্ষেই খারাপ। বাড়িতে রুম ফ্রেশনার ব্যবহার না করে আগে বাতাসকে পিউরিফাই করুন, আপনাদের লাভ।
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন, জল খান, মিছরি জল কিংবা মৌরি জল, অথবা নারকেলের জল ভাল রাখবে শরীরকে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ