মহারাষ্ট্রে এক মহিলাকে হেনস্থার করার অভিযোগ উঠল তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় তাঁর লিভ-ইন পার্টনার তাঁকে ৭০ টুকরো করবে বলে হুমকি দেয়।
নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁর লিভ-ইন পার্টনার তাঁকে ধর্ষণ করেছিল এবং জোর করে তাঁকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নাম ভাঁড়িয়ে প্রথমে নিজেকে হর্ষল মালি পরিচয় দিয়েছিল। পরে অবশ্য নির্যাতিতা জানতে পারেন সেই ব্যক্তির নাম আদতে আরশাদ সেলিম মালিক।
নির্যাতিতা জানান, তিনি বিবাহিত ছিলেন। তবে ২০১৯ সালে দুর্ঘটনায় তাঁর স্বামী মারা যান। তিনি এক সন্তানের জননী। পরে তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিচয় হয়। প্রথমে সে নিজেকে হর্ষল মালি বলে পরিচয় দেয়। একদিন সেই ব্যক্তি নির্যাতিতাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো দেখে তাঁকে প্রতারণা করে। সেই ব্যক্তি নির্যাতিতাকে তার সঙ্গে থাকতে বাধ্য করে। পরে লিভ-ইন করার একটি হলফনামা তৈরি করে তারা। সেখানেই নির্যাতিতা জানতে পারে যে সেই ব্যক্তির নাম আদতে হর্ষল নয় বরং আর্শদ সেলিম মালিক।
অভিযোগকারী দাবি করেন, আর্শদের বাবাও তাঁকে নিগ্রহ করে। এই বছর ২৬ অগস্ট আর্শদের বাচ্চার মা হন সেই নির্যাতিতা। তবে এই সময়ে ধর্ষণ জারি রেখেছিল সেই ব্যক্তি। আর্শদ নাকি তাঁর চামড়া পুড়িয়ে দিত। শ্রদ্ধা ওয়াকারের মামলা সামনে আসার পর আর্শদ নাকি নির্যাতিতাকে বলে, ‘শ্রদ্ধাকে ৩৫ টুকরো কাটা হয়েছিল, আমি তোমার ৭০ টুকরো করব।’ পুলিশ অভিযোগ পেতেই আর্শদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।