শাহরুখ যেন একেবারেই সাধারণ বাবাদের মতোই। তিন ছেলে-মেয়ের ঘনিষ্ঠ তিনি। আদ্যোপান্ত পারিবারিক মানুষ এসআরকে। ২০২২ সাল ঝড়ঝাপটার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে খান পরিবারের। আগামী বছরের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তাঁরা। ২০২৩ সালেই চার বছর পর বড় পর্দায় আসতে চলেছেন শাহরুখ খান। ছবির নাম ‘পঠান’। আগামী বছরেই ‘দ্য আর্চিস’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটতে চলেছে শাহরুখ-কন্যা সুহানা খানের।
বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের জেদ্দায় রেড সি চলচ্চিত্র উৎসবে যান শাহরুখ। সেখানেই তিনি তাঁর জীবনের টুকরো টুকরো সময়ের কথা ভাগ করে নেন দর্শকদের সঙ্গে। একটা সময় ছিল, যখন একের পর এক কাজের প্রস্তাব ফিরিয়েছেন এসআরকে। বাড়িতে বসে থাকতেন মেয়ে সুহানার একটা ফোনের অপেক্ষায়। শাহরুখ-কন্যা সুহানা পড়াশোনার জন্য ব্রিটেনে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে তিনি পাড়ি দেন আমেরিকায়। সেখানেই সিনেমার পাঠ নিতে যান সুহানা। সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে মেয়ে পরবাসে যাওয়ার পর থেকেই কাজ কমাতে থাকেন শাহরুখ। কারণটা ছিল মেয়ের একাকিত্ববোধ কমানো।
এই চলচ্চিত্র উৎসবে শাহরুখ বলেন, ‘‘সুহানা আমাকে ফোন করেনি। কিন্তু তত দিনে কাজ কমিয়ে দিচ্ছি, একের পর এক ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিচ্ছি। তার পর এক দিন আমি নিজে থেকেই ওকে ফোন করে বলি, এ বার কী আমি কাজ শুরু করতে পারি? আকাশ থেকে পড়ে সুহানা। জিজ্ঞাসা করে, তুমি কাজ করছ না কেন?’’ মেয়ের প্রশ্নের উত্তরে শাহরুখ বলেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম নিউ ইর্য়কে একাকিত্ব বোধ করলে নিশ্চয়ই আমার প্রয়োজন পড়বে।’’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সাদা উত্তরীয় গায়ে ‘বাদশা’র ছবি। তাঁর উস্কোখুস্কো চুল, মুখে মাস্ক। সেই বেশেই উমরাহ বা মক্কাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা যায় শাহরুখকে। সম্প্রতি ‘ডাংকি’ ছবির শুটিং শেষ করে মক্কা পাড়ি দিয়েছেন অভিনেতা।