আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ হবে কি না, সেটি সময় বলে দেবে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঘিরে বিএনপি আবারও গাড়ি পোড়ানো শুরু করেছে। নেতাকর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকতে কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তা ছাড়া গাড়ি পোড়ানোর দায়ে বিএনপির বিরুদ্ধে বিআরটিসি মামলা করবে বলেও জানান তিনি।
সম্মেলেন ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, সব পোস্টার নামাও, স্লোগান বন্ধ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, এটাই কি ছাত্রলীগ! কোনো শৃঙ্খলা নেই! পোস্টার নামাতে বলছি, নামায় না!
কাদের বলেন, ‘সব নেতা, তাহলে কর্মী কোথায়! এত নেতা স্টেজে, কর্মী কোথায়? এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ, এই ছাত্রলীগ নয়। মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে। খাঁটি কর্মী বিশৃঙ্খলা করে না। সব নেতা হয়ে গেছে!’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন, সুসংগঠিত করুন। কথা শুনবে না, এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নেই। অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ দরকার নেই। দুর্নামের ধারা থেকে ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে–এটাই আজকে অঙ্গীকার।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আবু আহম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।